• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

তাজমহলের আদলে মসজিদ, ব্যয় হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা


হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি নভেম্বর ২০, ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম
তাজমহলের আদলে মসজিদ, ব্যয় হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা

দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিশ্বখ্যাত তাজমহলের আদলে নির্মিত হচ্ছে আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ। দেশের উত্তারাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র নবাবগঞ্জের স্বপ্নপুরী। আর এই স্বপ্নপুরীর পাশেই আফতাবগঞ্জ বাজারে ঐতিহাসিক তাজমহলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে এই মসজিদটি। এই মসজিদটি তৈরী হচ্ছে এক বিঘা জমির উপর। মসজিদটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটির টাকার উপরে। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয়ে এখনও চলমান রয়েছে কাজ। আরও কাজ চলবে ২ বছর। চীন, ভারত ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রানাইট, টাইলস, মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী দিয়ে তৈরী হচ্ছে মসজিদটি। মসজিদের দেয়াল, ছাদসহ গোটা মসজিদ জুড়ে বিভিন্ন নকশা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও চাঁদ-তারাসহ বিভিন্ন নকসা স্থান পেয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রিসহ প্রায় শতাধিক শ্রমিক। পুরোপুরি নির্মাণকাজ শেষ না হলেও মসজিদটি দেখতে ভিড় করছে দুর-দুরান্তের থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

জানা যায়, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত মসজিদটি গড়ে তুলছেন স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাতিজা এমপি সিবলী সাদিক। নিজস্ব পরিকল্পনায় তাজমহলের অনুসরণে মসজিদটির নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। স্বপ্নপুরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্থানীয় সাংসদ শিবলী সাদিকের দাদা মৃত ডা. আফতাব হোসেনের নামে ওই আফতাবগঞ্জ বাজারটির নামকরণ করা হয়। তার হাত ধরে এখানে মসজিদ, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বের মসজিদটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ও মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় পারিবারিকভাবে নতুন করে এ মসজিদটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।

স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, মসজিদে মুসল্লী বেড়ে যাওয়াতে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়। এজন্যই এলাকার মুসল্লীর নামাজ আদায়ের জন্য ভিন্নধর্মী একটি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে যে মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে এতে আগামী ৫০ বছরেও মুসল্লীদের নামাজ আদায় করতে কোনো সমস্যা হবে না। চার তলাবিশিষ্ট মসজিদটির নিচতলায় থাকবে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে থাকবে ধর্মীয় বিভিন্ন গবেষণামূলক বই। পাশেই থাকবে সেমিনার কক্ষ। যেখানে ধর্মীয় বিতর্ক কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা যাবে। থাকবে তাবলিগ, জামাত কিংবা জ্ঞান অন্বেষণে আসা লোকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থাও। দ্বিতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি ফ্লোরে ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের এ মসজিদে প্রায় ৫ হাজার লোকের নামাজের ব্যবস্থা থাকছে। তৃতীয় তলায় মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ১৬টি পিলারের ওপর তৈরি এ মসজিদে রয়েছে ৩২টি ছোট মিনার। চার কোনায় রয়েছে চারটি সুউচ্চ গম্বুজ। গম্বুজগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফিট।

দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য সিবলী সাদিক জানান, এই জায়গাটি খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল, এক সময় এখানে ধান. গরু ছাগল. হাস মুরগি রাখা হতো। সেই জায়গায় একটা ভালো কিছু করার লক্ষে আমি ও আমার বড় আব্বা মিলে আজকের এই মসজিদটি তৈরী করা। মসল্লিদের নামাযের সুবিধার্তে এই মসজিদটি নির্মান করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সব থেকে ভালো মানের করার জন্য চেষ্টা করছি। এই মসজিদটি তৈরী হচ্ছে এক বিঘা জমির উপর। মসজিদটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটির টাকার উপরে। এই পযন্ত ২২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয়ে এখনও চলমান রয়েছে কাজ। আরও কাজ চলবে ২ বছর। চীন, ভারত ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের  গ্রানাইট, টাইলস, মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী দিয়ে তৈরী হচ্ছে মসজিদটি। মসজিদের দেয়াল, ছাদসহ গোটা মসজিদ জুড়ে বিভিন্ন নকশা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও চাঁদ-তারাসহ বিভিন্ন নকসা স্থান পেয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রিসহ প্রায় শতাধিক শ্রমিক।

সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই

Wordbridge School
Link copied!