বাসর রাতেই যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার 

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাসররাতেই জীবন প্রদীপ নিবে গেলে মো. ওমর আলী ফরাজি (২৫) নামে এক যুবকের। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সকালে কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওমর আলী ফরাজি তাহেরপুর এলাকার শাহজাহান ফরাজির ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে পারিবারিক ভাবে পাশ্ববর্তী তাজেপাড়া গ্রামের শাহ আলম কারীর মেয়ে ফারজানার (১৮) সাথে বিবাহ হয়। পরে সোমবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পরে নববধূকে বরের বাড়িতে তুলে নিয়ে আসে। রাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে সকালে ফজরের আজান দিলে নিহত ওমর নামাজের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয় যান। কিচ্ছুক্ষনপরে বাড়ির পাশের একটি মরিচ ক্ষেতে তার গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু হয়।

নিহতের বাবা শাহ জাহান সোনালী নিউজকে জানান, রাতে ছেলের শ্বশুর বাড়ির মেহমানের সাথে একসাথে আমরা শুয়েপরি, সকালে আমার আগে ওমর আলী নামাজে যায়। আমি অন্যপথ দিয়ে নামাজে যাই কিন্তু মসজিদে গিয়ে তারে না পেয়ে নামাজ শেষে বাড়িতে এসেও তাঁকে পাইনাই। কিচ্ছুক্ষন পরে বাড়ির ছোট্ট বাচ্চারা বাসা থেকে নেমে আমার ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখে। আমার ছেলে সহজ-সরল, তার কোনো শত্রু নাই, নিয়মিত নামাজ পরে, তাবলিক করে সাধারণ জীবনযাপন করে।

নিহতের শ্যালক আব্দুল্লাহ বলেন, সকালে আমরা পাখির বাসা খুঁজতে বের হয়ে ভাইয়াকে মাটিতে পরে থাকতে দেখি। ভয় পেয়ে চিৎকার করলে আঙ্কেল-সহ আরো অনেকে আসে।

নিহতের চাচা শ্বশুর মো. ফেরদৌস  জানান, ছেলে আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার হওয়াতে আমরা ছেলের পরিবারকে ভালোভাবে চিনি। ভালো ছেলে হওয়াতে আমরা তার কাছে ভাতিজিকে বিবাহ দিয়েছি। কালকে আমার মা এই বাড়িতে ভাতিজির সাথে আসছে কিন্তু সকালে এই খবর শুনে আমরা এখানে আসছি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার সোনালী নিউজকে বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। নিহতের পাশে একটি গাছকাটা দা পাওয়া গেছে, তার শরীরে গলাকাটা ছাড়া আর কোথাও কোনক্ষত নেই। যেহেতু গতকালকে বিবাহ করেছে তাই আমরা উভয় পরিবারকে নজরে রাখছি। পটুয়াখালী থেকে এক্সপার্ট ক্রাইসিন এসে অনুসন্ধান করার পরে আমরা মৃত্যুর কারন বলতে পারবো।

সোনালীনিউজ/এস/এসআই