• ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১

বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে লাঞ্ছিত, ভিডিও ভাইরাল 


বরগুনা প্রতিনিধি :  সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে লাঞ্ছিত, ভিডিও ভাইরাল 

বরগুনা: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দীর্ঘদিন লুকিয়ে থেকে প্রকাশ্যে বের হলে বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা বরগুনা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আঃ রশীদকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। 

জানা গেছে, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেয়া এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিভিন্ন সভা সমাবেশে বিএনপি নিয়ে সমলোচনা করায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লার একমাত্র ছেলে ইফতেখার আলম শাওন মোল্লা এই মুক্তিযোদ্ধা আঃ রশীদকে লাঞ্ছিত করেন। 

ভিডিওটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, শাওন মোল্লা ও সাবেক কমান্ডারের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় দুজনে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে বলতে শোনা যায়, তিনি আওয়ামী লীগে থাকলেও কখনো প্রকাশ্যে মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না। নিজেকে তিনি হাজী মানুষ পরিচয় দিতেই ইফতেখার আলম শাওন মোল্লাকে বলে শোনা যায়, আপনি তো ২ নম্বর লোক, কালা রশীদ ওরফে চোরা রশীদ ওরফে ডাকাত রশীদ। 

‘সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর আমলে অনেক কিছু করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার না হয়েও নিজেকে কমান্ডার পরিচয় দিয়ে চলতেন এবং দখল বাণিজ্য করে চলতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দ নিজে ভোগ দখল করতেন। ছাত্র জনতার আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।’

এব্যাপারে ইফতেখার আলম শাওন মোল্লা বলেন, এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ হাসিনার আমলে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বাণিজ্য, ভাতা বাণিজ্য, তার কথা না শুনলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নানা ভাবে হয়রানি করতো। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সকে সে স্পা সেন্টার বানিয়ে গা টেপাতো। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসনের নামে অর্থ লোপাট, জমি দখল, বরগুনা ডায়াবেটিস সমিতিতে প্রভাব খাটিয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য করা, সমবায় ব্যাংক, ইউনিয়ন মাল্টি পারপাস সেন্টার দখলে রাখাসহ নানান অনিয়ম করে অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যান তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আঃ রশীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

আইএ

Wordbridge School
Link copied!