বরগুনা: আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি স্ট্যান্ডে ঢাকাগামী মিজান পরিবহন বাস থেকে ২৬ মণ সামদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা মৎস্য বিভাগ সোমবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই মাছ জব্দ করে।
রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান নির্বাহী আদেশে জব্দকৃত মাছের ৩২০ কেজি নিলামে বিক্রি এবং ৭২০ কেজি এতিমখানা ও স্থানীয় দুস্থদের বিতরণ করেন।
জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১১ জুন ৫৮ দিন সাগরে সকল ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে সরকার। সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকার অসাধু ব্যবসায়ী ও জেলেরা গোপনে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ম্যানেজ করে সাগরে মাছ শিকার করে আসছেন।
সোমবার রাতে ফকিরহাটের জেলেদের শিকার করা সামুদ্রিক মাছ ঢাকাগামী মিজান পরিবহনে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বিক্রির উদ্দেশ্যে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ ও মেরিন ফিসারিজ অফিসার অলিউল রহমান মাছ বাসটি আমতলী-তালতলী সড়কের মানিকঝুড়ি স্ট্যান্ডে তল্লাশি করে বাসে থাকা ২৬ মণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে।
পরবর্তীত আমতলী উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের সামনে জব্দকৃত মাছ নিয়ে আসে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান জব্দকৃত মাছ থেকে ৩২০ কেজি নিলামে ৭৬ হাজার ৩’শ ২৫ টাকা বিক্রি করেন এবং ৭২০ কেজি ২৬ টি এতিম খানা ও স্থানীয় দুস্থদের বিতরণ করে দেন।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, রাত এগারোটার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সমুদ্র থেকে ধরে আনা অবৈধভাবে ধরে আনা ১০৪০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে মাছ গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে আসলে তিনি জব্দ করা মাছ বিক্রি ও এতিমখানা, দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, জব্দকৃত কিছু মাছ বিধি মোতাবেক নিলামে বিক্রি এবং এতিম খানা ও স্থানীয় দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এআর