পাবনা: ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এ এস এম কামাল উদ্দিন মেমোরিয়াল হলে দুইদিনব্যাপী গবেষণা সম্প্রসারণ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে ) বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.কবির উদ্দিন আহমেদ'র সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাং শওকত রশিদ চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব, প্রশাসন অনুবিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. আব্দুল আলীম খান, যুগ্নসচিব এবং পরিচালক (ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা) বিএসএফআইসি, ড. মো. হযরত আলী, পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ক্রপস্ উইং, ডিএই ও পাবনার জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোহা : শওকত রশিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের এ দেশের কৃষকেরা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী। কৃষকেরা উচ্চতর ডিগ্রী না নিয়েও কৃষি কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞ হয়ে গেছেন। তারা বিজ্ঞানীদের মতো কৃষি কাজ নিয়ে অনেকে গবেষণা করেন।
আমাদেরকে প্রথমে কৃষকদের সম্মান জানাতে হবে। কৃষক জমিতে ফসল ফলায় বলেই স্বল্পমূল্যে আমরা কৃষি পণ্য পেয়ে থাকি। বিদেশ থেকে কৃষি পণ্য আমদানি করলে আমাদের দেশের অর্থ ব্যাপক ক্ষতি হতো। কৃষক যদি লাভবান না হয় তাহলে ওই ফসল কৃষক তার জমিতে রোপন করবেন না। আখের সাথে অনেক কৃষক সাথি ফসল উৎপাদন করছেন।
বক্তারা বলেন, একজন কৃষক আকাশ দেখে সময় এবং কখন বৃষ্টি হবে তা তিনি বলতে পারবেন। কোন ফসলটি লাভজনক হবে তা কৃষককে নির্ধারণ করতে হবে। মুরগি খাঁচার পালন করতে হবে এটা কখনো কেউ কল্পনা করেননি।
কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে খাঁচায় পোল্ট্রি মুরগি চাষ হচ্ছে। আমরা ঢাকা থেকে এলে ওই এলাকার সবচেয়ে ভালো খামারে পরিদর্শন করানো হয়। আমাদের দেশের চিনি কলের উৎপাদিত চিনি সুপারসপ এবং খোলা বাজারে বিক্রি করতে দেখিনা। দেশীয় চিনি বিপণনের ক্ষেত্রে আগাগোড়াই একটা সমস্যা আছে।
কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা সুলতান মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. কূয়াশা মাহমুদ পরিচালক গবেষণা বিএসআরআই। এক নজরে বিএসআরআই উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন বায়োটেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান ড. নাদিরা ইসলাম।
এআর