• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর


বরগুনা প্রতিনিধি  আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর

বরগুনা: বরগুনায় দোকানে ঢুকে সমন্বয় পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সকল ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ফেলেন।

ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. জসিম। তিনি বরগুনা শহরের লেডিস পয়েন্ট নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক। গতকাল শনিবার রাত দশটার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বিবি সড়কের একটি কাপড়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, বরগুনা শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী জসিমের শিশু সন্তানের সঙ্গে ইয়াসমিন তানিয়া নামের এক পথচারী নারীর ধাক্কা লাগে। এতে জসিমের শিশু সন্তান সিটকে পড়ে যায়। এ নিয়ে জসিম এবং ওই নারী মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। যা নজরে আসে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। 

এসময় সেখানে সমন্বয়ক পরিচয়ে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন ইয়াসমিন তানিয়ার ছেলে সিনহা রহমান। উভয় পক্ষের কথোপকথনের একপর্যায়ে সিনহা ব্যবসা জসিমের উপর হামলা করেন। 

এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেন। এ বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে খাবার কিনতে যাচ্ছিলাম। এ সময় এক পথচারী নারী আমার বাচ্চাটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী কোনো প্রকার সহানুভূতি না দেখিয়ে উল্টো বলেন, দেখে হাঁটতে পারেন না। 

বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর যে যার মত চলে যাই। পরে ওই নারী তার সমন্বয়ক দাবি করা ছেলেকে জানালে বিষয়টির মীমাংসা করতে আমাকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসয়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা। এরপর সেখানে উপস্থিত হলে সকলের সামনেই আমাকে মারধর করে ওই নারীর সমন্বয়ক দাবি করা ছেলে সিনহা। আমি এ ঘটনা বিচার চাই।  

এ বিষয়ে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ বলেন, জসিমের সঙ্গে এক নারী পথচারীর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার একপর্যায়ে ওই নারীর ছেলে সমন্বয়ক দাবি করা সিনহা ও সঙ্গে আরেকজন ছেলে দোকানে উঠে জসিমকে মারধর শুরু করে। 

এ সময় আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম সবাই মিলে তাদেরকে থামাই। এতে দোকান লুটের হাত থেকে রেহাই পেয়েছি। এ ঘটনার পরপরই আমরা ব্যবসায়ীরা সকল দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়াও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার না হলে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এআর

Wordbridge School
Link copied!