• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

মা-মেয়েকে হত্যার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিল সেই গৃহকর্মী


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
মা-মেয়েকে হত্যার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিল সেই গৃহকর্মী

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে হত্যার ঘটনার ভয়ঙ্কার বর্ণনা দিয়েছেন সেই গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০)। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়েকে হত্যার বিবরণ দিয়েছে আয়েশা।

পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন স্বর্ণালংকার ও মালামাল চুরি করে পালানোর সময় গৃহকর্মী আয়েশাকে ধরে ফেলেন গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজা। লায়লা ও তার মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। তখন ছুড়ি দিয়ে তাদের দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ইসলাম।

এর আগে আজ সকালে আয়েশাকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়ারচর থেকে স্বামী জামাল সিকদারসহ (২৫) গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। জামাল একই এলাকার বাসিন্দা ও আয়েশা আক্তার নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে।

এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা জানিয়েছেন, লায়লা ও তার মেয়েকে তিনি কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আয়েশা ও তার স্বামীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে আয়েশার স্বামী জামাল সিকদারের বরাতে পুলিশ জানায়, মা-মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না আয়েশার। স্বর্ণের গয়না ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আয়েশাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন লায়লা। ধরা পড়ার ভয়ে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেন আয়েশা।

মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গত সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার বাদী লায়লার স্বামী ও নাফিসার বাবা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। 

গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে মা-মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নাফিসার গলায় একাধিক গভীর ক্ষত এবং লায়লার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাতে গ্লাভস পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েকে আঘাত করা হয়।

ভবনের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ওই বাসার লিফটে উঠে সাত তলায় যায় গৃহকর্মী আয়েশা। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে সে কাঁধে স্কুল ব্যাগ নিয়ে ও স্কুলের ড্রেস পরে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বের হয়ে যায়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের বাবা আজিজুল ইসলাম ঘটনার দিন সকালে যথারীতি স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় এসে স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ দেখতে পান।

Wordbridge School
Link copied!