ফাইল ছবি
নতুন পে–স্কেল নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কয়েক দফা আলোচনার পরও চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে অগ্রগতি নেই। সর্বশেষ বেতন কমিশন জানিয়েছে, তারা সুপারিশ জমা দিলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়–জটিলতা কাটেনি। ফলে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কাঠামো বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ আশা করেছিল ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ হবে। কিন্তু নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক অগ্রাধিকার বদলে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো এখন নির্বাচনি কার্যক্রমে ব্যস্ত, বাজেট সংশ্লিষ্ট আলোচনাও স্থগিত। এতে পে–স্কেল বাস্তবায়ন কার্যত পিছিয়ে গেছে কয়েক ধাপ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, কমিশনের প্রস্তাবে মূল বেতন সংশোধন, গ্রেড পুনর্বিন্যাস ও ভাতা কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের সুপারিশ রয়েছে। এসব বিষয়ে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যে আরও কয়েক দফা আলোচনার প্রয়োজন। নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতিতে এসব বৈঠক কতটা দ্রুত সম্পন্ন হবে, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
চাকরিজীবীদের সংগঠনগুলো বলছে, ঘোষণার পর এত সময় পার হয়ে গেলেও সরকারের কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি নেই। তারা মনে করেন, নির্বাচন শেষে নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত পে–স্কেল নিয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত আসবে না।
অন্যদিকে, নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নতুন বেতন কাঠামো একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া-যাতে অর্থনৈতিক সক্ষমতা, বাজেট ভারসাম্য, মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি ও সরকারি ব্যয়ের চাপ বিশ্লেষণ করতে হয়। এসব বিবেচনায় এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়।
সব মিলিয়ে স্পষ্ট বার্তা-চাকরিজীবীদের কাঙ্ক্ষিত নতুন পে–স্কেল এরই মধ্যে নির্বাচনের আড়ালে চলে গেছে। অপেক্ষা বাড়ছে আরও কিছু মাসের, অন্তত নির্বাচন ও নতুন প্রশাসন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত।







































