ফাইল ছবি
ঢাকা: সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার নতুন পে-স্কেল এবারও নির্বাচনের আগে ঘোষণার সম্ভাবনা কম। কয়েক দফা আলোচনার পরও চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে কোনো অগ্রগতি নেই। জাতীয় বেতন কমিশন সুপারিশ জমা দিলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়–জটিলতা কাটেনি। ফলে পে-স্কেল বাস্তবায়ন কার্যত নির্বাচনের পরে পিছিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, কমিশনের প্রস্তাবে মূল বেতন সংশোধন, গ্রেড পুনর্বিন্যাস ও ভাতা কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের সুপারিশ রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যে আরও কয়েক দফা বৈঠকের প্রয়োজন। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক অগ্রাধিকার বদলে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত। ফলে পে-স্কেল কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরও বিলম্বিত হচ্ছে।
চাকরিজীবী সংগঠনগুলো বলছে, ঘোষণার পরও সরকারি অগ্রগতি না থাকায় তারা মনে করছেন, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত পে-স্কেল কার্যকর হবে না। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নতুন বেতন কাঠামো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। অর্থনৈতিক সক্ষমতা, বাজেট ভারসাম্য, মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি ও সরকারি ব্যয়ের চাপ বিশ্লেষণ না করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
এ পরিস্থিতিতে ধরা হচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে আর কেউ কোনো আন্দোলন করতে পারবে না। ফলস্বরূপ, নির্বাচনের আগে পে-স্কেল ঘোষণার আশা কার্যত শেষ। তফসিল ঘোষণার পরে পে–স্কেল সংক্রান্ত আলোচনা অনিশ্চিত সময়ের জন্য স্থগিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছে। প্রধান উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নির্দেশে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহ্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসএইচ







































