ফাইল ছবি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এক যুবকের তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। কেন্দ্রের দরজায় বাধা দেওয়ায় তিনি দেশীয় অস্ত্র রামদা হাতে কলেজে ফিরে এসে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়ে কলেজের সিসি ক্যামেরায়।
ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারগ্রামে অবস্থিত আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতারা কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক লিখিত মুচলেকাও দিয়েছেন।
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক কলেজ চত্বরে প্রবেশ করেন। পেছনে বসা যুবক আল সাদ হাতে বড় একটি রামদা উঁচিয়ে কলেজের ভেতরে ঢোকেন। তাকে দেখে অনেকে আতঙ্কে দৌড়ে সরে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি মূল ভবনে প্রবেশ করে বেরিয়ে যান।
কলেজ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত আল সাদ পৌরসদরের কুসুমদি গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। একসময় ছাত্রলীগের কর্মী হলেও বর্তমানে তার মামা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। তার সঙ্গে থাকা আরেক যুবকের নাম সাদি, তিনি শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা।
অধ্যক্ষ এমএম মজিবুর রহমান বলেন, আল সাদের স্ত্রী ওই দিনের পরীক্ষার্থী ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পিয়ন নাজমুল তাকে বাধা দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আমি তাকে কেন্দ্রের বাইরে যেতে বললে আরও ক্ষিপ্ত হন। আমাকে উদ্দেশ করে বলেন, আমাকে চিনেন না, দেখে নেবেন। পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমবার বের হয়ে যাওয়ার ২০ মিনিট পর মোটরসাইকেলে রামদা হাতে আবার কলেজে ঢোকেন আল সাদ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে ইউএনও ও ওসিকে জানানো হলে পুলিশ আসে, তবে তখন তিনি সরে পড়েছিলেন।
আল সাদ ও সাদির মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান আব্বাস বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি, বিস্তারিত জানি না।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. হাসনাত বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হঠাৎ করা এই তাণ্ডব পরীক্ষার সুশৃঙ্খল পরিবেশে যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে, তার রেশ রয়ে গেছে পুরো এলাকায়।
এসএইচ







































