ছবি: সোনালীনিউজ
উঁচু গাছের ডাল, বাড়ির ছাদ বা গভীর বনের গাছে ঝুলে থাকা মৌচাক। সেখানে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে মধু সংগ্রহ করেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের পলিরামদেবপুর গ্রামের আব্দুল খালেক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৌচাক থেকে সংগ্রহ করেন খাঁটি প্রাকৃতিক মধু। স্থানীয়ভাবে এই পেশার মানুষদের বলা হয় মৌয়াল।
এক সময় এই পেশায় জড়িত মানুষ ছিল অনেক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যাটা কমেছে। কিন্তু পৈতৃক এই পেশা এখনো আঁকড়ে আছেন আব্দুল খালেক। পেশায় যুক্ত হন বাবার হাত ধরে। তাঁর বাবা আজীবন মৌচাক কেটেই সংসার চালিয়েছেন। বাবার শেখানো কৌশলেই গত ১০ বছর ধরে মধু সংগ্রহ করছেন খালেক।
আব্দুল খালেক জানান, যেসব বাড়িতে বা গাছে মৌচাক হয়, তারা খবর দেন। কোনো সুরক্ষার পোশাক ছাড়াই মৌচাকে ধোঁয়া দিয়ে সহজেই মধু সংগ্রহ করেন তিনি। মধুর অর্ধেক তিনি পান, আর বাকি অর্ধেক দেন বাড়ির মালিককে। সেই মধুই বাজারে বিক্রি করে চলে তাঁর সংসার। মাসে গড়ে আয় হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। তবে শীতকালে মধুর পরিমাণ কম থাকায় আয়ও কমে যায়।
আব্দুল খালেক বলেন, তিনি অনেককে এ কাজে আগ্রহী করতে চেয়েছেন, কিন্তু ঝুঁকির কারণে কেউ আসেননি। ফলে এই পেশা এখন বিলুপ্তির পথে। তা–ও তিনি খুশি, কারণ মানুষের কাছে খাঁটি মধু পৌঁছে দিতে পারছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস বলেন, খাঁটি মধু মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। স্থানীয় মৌয়ালেরা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষ বাড়ানোর লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস কাজ করে যাচ্ছে।
এসএইচ







































