• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার জেরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন


গাজীপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭, ০৮:০৮ পিএম
পরকীয়ার জেরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

গাজীপুর: গাজীপুরে পরকীয়ার জের ধরে গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ এ.কে.এম এনামুল হক এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আব্দুস সাত্তার (৩৫)। তিনি ময়নসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার এনায়েতপুর গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে।

মামলার এজহার ও রায়ের বিবরণের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারিছ উদ্দিন আহাম্মদ জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার এনায়েতপুর এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে আ. সাত্তারের সঙ্গে একই এলাকার মৃত সাহেদ আলী মন্ডলের মেয়ে  হাসিনা বেগমের বিয়ে হয়। তারা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাড়িয়ালী এলাকার শাহজাহান ড্রাইভারের বাড়ি ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। তাদের আকাশ (১০) ও পুষ্প (১৪) নামের দুই সন্তান রয়েছে।

গেল বছরের ৫ মার্চ প্রতিদিনের মত কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে বারবৈকা এলাকার ডেন্ডি ফেক্স সুয়েটার কারখানা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় হাসিনা। পরদিন সকালে টেকনগরপাড়া (পলানটেক) এলাকার সিনকি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীরর সামনে একটি পতিত জমিতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় হাসিনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

এব্যাপারে নিহতের ভাই মো. রাজ্জাক বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহতের স্বামী আব্দুস সাত্তার ও মালিকের ছেলে মকবুল হোসেনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে। মকবুলের সঙ্গে হাসিনার পরকীয়ার কারণে হাসিনাকে হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শহীদুল্লাহ ওই বছরের ৩০ মার্চ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আটজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আসামি আব্দুস সাত্তারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

বাদী পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট একেএম মাসুম আল আজাদ মামলাটি পরিচালনা করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!