• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘনার জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


ভোলা প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০১৮, ০৩:২৯ পিএম
মেঘনার জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ভোলা : ভোলায় জোয়ারের পানির চাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভোলা সদর ইলিশা, তজুমদ্দিন, মনপুরা, চরফ্যাশন ও দৌলতখানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লাখ মানুষ।

সোমবার (১৬ জুলাই) রাত থেকেই মেঘনার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে বাঁধের বাইরে নিচু এলাকায় পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলাকাবাসী।

জোয়ারের পানির কারণে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। এতে নারী ও শিশুরা চরম বিরম্বনার মধ্যে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।

এদিকে জোয়ারে ইলিশা ফেরি ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পরিবহন ওঠা-নামা করতে পারছে না। উভয় পাড়ে আটকে আছে শতাধিক যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।

এ ব্যাপারে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়ার জোয়ারে চরফ্যাশনের মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার পয়েন্টে দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এ ছাড়াও বাঁধ না থাকায় ঢালচর ও চর পাতিলা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে কুকরী-মুকরীর বাঁধের বাইরে বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকেছে স্লুইজ গেটের অভাবে। অন্যদিকে মনপুরার কলাতলীর চর ও চর নিজামের বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারের পানিতে পুরো ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ না থাকায় গত তিন দিন ধরে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুল-কালভাট। ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।

কুকরী-মুকরী ইউপি সচিব মোকাম্মেল জানান, চর পাতিলা ও কুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত দুইদিন ধরে জোয়ারের পানি ঢুকে ওইসব এলাকা প্লাবিত হয়।

এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বলেন, সোমবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং তেঁতুলিয়ার পানি ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, চর মতোহার পয়েন্টে ১ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলার সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের দালাল কান্দি, মাওলানা কান্দি ও চৌকিদার কান্দি প্লাবিত হয়েছে। পুরাতন বাঁধ ভেঙে চতুর্থ দিনের মতো সেখানকার ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভোলা সদরের রাজাপুর, রামদাসপুর, মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুরসহ বেশ কিছু নিচু ও বাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!