• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘মামুনুল হকের কাছ থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে ’


নিজস্ব প্রতিনিধি এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০১:১৮ পিএম
‘মামুনুল হকের কাছ থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে ’

ফাইল ছবি

ঢাকা : ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৯ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত থেকে তাকে আবারও ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরাপত্তার কারণে তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হবে।

অপরদিকে, মামুনুলের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেছেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে এসআই সাজেদুল বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুর এলাকায় মামুনুলের নির্দেশে কয়েকজন মিলে জিএম আলমগীর শাহীন নামে এক ব্যাক্তিকে আঘাত করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ‘স্যামসাং এ ৫০’ মোবাইল ফোন, সাত হাজার বাংলাদেশি টাকা ও ২০০ ডলার সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা নিয়ে যায় আসামিরা। মামুনুল ওই আসামিদের চেনেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চোরাই যাওয়া মালামাল উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া একান্ত আব্যশক।

রিমান্ড শুনানিতে বিচারক মামুনুলকে বলেন, ‘আপনার কি কিছু বলার আছে?’

আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন মামুনুল। এসময় তিনি আদালতের কাছে ইবাদত করার উপযোগী জায়গায় তাকে রাখার আবেদন জানান।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রিমান্ড শুনানি শেষে মামুনুলের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আইনজীবী সৈয়দ মেজবাহ বলেন, এসময় আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান মাওলানা মামুনুল। অনুমতি নিয়ে মামুনুল বলেন, ‘আমি রমজানে নিয়মিত ইবাদত করি, রোজা রাখি। গতকাল আমাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটা বসবাস ও ইবাদতের অনুপযোগী। আমি আদালতের কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন ইবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হয়। তখন আদালত বলেন, আপনাকে ইবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হবে। আপনার কোনো কষ্ট হবে না, ইবাদতের বিঘ্ন ঘটবে না। 

আইনজীবী বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে এক ব্যক্তিকে বের করে দেওয়া নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বের করে দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ার কথাও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল গ্রেফতারের পর তাকে দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার আর রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আদালতকে জানিয়েছি।

এর আগে ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার ভাঙচুর ও নাশকতার একটি মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করবো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

রোববার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!