• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৮৩ লাখ টাকা জমা দিলেন ড. কামাল হোসেন


নিজস্ব প্রতিনিধি জুন ২১, ২০২২, ০৩:৪৭ পিএম
৮৩ লাখ টাকা জমা দিলেন ড. কামাল হোসেন

ফাইল ছবি

ঢাকা : সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন আদালতের আদেশে আপিলেট ট্রাইব্যুনালে ৮৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। এর আগে হাইকোর্ট তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দাবি করা ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্সের মধ্যে ১০ শতাংশ পরিশোধ করতে আদেশ দিয়েছিলেন। 

মঙ্গলবার (২১ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আইনজীবী সুত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। 

কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের রিটের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।

এর আগে গত রোববার (১৯ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

আদালতে ড. কামালের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

গত ১৪ জুন কর ফাঁকির বিষয়ে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ড. কামাল হোসেনের দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ।

এর আগে, গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ১১ লাখ চার হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ছয় কোটি নয় লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা ট্যাক্স দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন এক কোটি চার লাখ তিন হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ চার হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ছয় কোটি নয় লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করেন।

রাজস্ব বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. কামাল হোসেন। পরে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!