• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন 


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম
আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মমিনুল হক তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী আশিকুর রহমান জানান, অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাটি সাজানো ছিল। জামিনপ্রাপ্তদের ফাঁসানোর জন্য বাদীপক্ষ সাজানো ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। জামিনপ্রাপ্ত ৪৮ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে রামগতির ৩৪ জন ও কমলনগরের ১৪ জন ছিলেন। 

এরআগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করেন। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলা সূত্র জানায়, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রাতে রামগতি আলেকজান্ডার বাজার এলাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনরি ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রামগতি পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাফু বাদী হয়ে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন রাতে কমলনগরের হাজিরহাট বাজার এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ২১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যা বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। 

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কমলনগরের চরফলকন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীর জামিন হয়েছে। এছাড়া রামগতি উপজেলার বিএনপি কর্মী অপরুপ দাস, মাহবুবুর রহমানসহ ৩৪ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত। 

লক্ষ্মীপুরে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন একটি গায়েবি ঘটনা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। ঘটনার সময় আমাদের অনেক নেতাকর্মীই নিজ এলাকায় ছিলেন না। ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের পর তারা ঢাকায় ছিলেন। এসব মামলা দিয়ে আমাদের আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যাবে না। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!