ফাইল ছবি
ঢাকা: গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থলের ঘটনার আগের রাতেই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী শুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে জানিয়েছিলেন, পরদিন এমন কিছু ঘটবে যা সারা দেশে আলোড়ন তুলবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান তদন্তে জানা গেছে, হত্যাচেষ্টার পেছনে একটি সুসংগঠিত চক্র সক্রিয় ছিল। মোহাম্মদপুরের এক সাবেক কাউন্সিলর এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। অন্তত ২০ জনের একটি গ্রুপ হামলা বাস্তবায়ন, অস্ত্র সংগ্রহ, অর্থায়ন এবং পালিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিল।
র্যাব ও পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন এবং কয়েক কোটি টাকার চেক। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আরও কয়েকটি শুটার গ্রুপের অস্তিত্বের ইঙ্গিত মিলেছে।
ফয়সালের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া চেকগুলো যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে রয়েছে। আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলির ফয়সালের বোনের বাসা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রের দুটি ম্যাগাজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নরসিংদীর তরুয়া এলাকা থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি খেলনা পিস্তল এবং ৪১ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা মোসাম্মৎ হাসি বেগমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক, বান্ধবী এবং অন্যান্য সহযোগীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট ভুয়া ছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ঘটনার তদন্ত করছে। ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং হামলার সঙ্গে যুক্ত সকলকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
এসএইচ







































