• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কমমূল্যে সৌদি রিয়াল কিনতে গিয়ে ৯ লাখ টাকা খোয়ালেন চিকিৎসক 


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৭, ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম
কমমূল্যে সৌদি রিয়াল কিনতে গিয়ে ৯ লাখ টাকা খোয়ালেন চিকিৎসক 

ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি মূদ্রা কম টাকা কেনার ফাঁদে পড়ে ৯ লাখ টাকা খোয়ালেন এক চিকিৎসক। বিনিময়ে পেলেন গামছায় মোড়ানো সাদা কাগজ। এমন অভিনব প্রতারণার অভিযোগে চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- লিয়াকত (৩৫), মিরাজ তালুকদার (৫০), মো. আহাদ শেখ (৫৮), হায়দার মৃধা (৫৭), মফিজুল মিয়া (৩৫) এবং ইমারাত মোল্লা (৬১)।

শনিবার (২৭ মে) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, ডাক্তার শাহিন (ছদ্মনাম) নামের এক চিকিৎসক গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি সৌদি রিয়েল কোথায় ভাঙ্গানো যায় তাকে জিজ্ঞেস করেন। 

শাহিন ওই ব্যক্তিকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে এআর মানি এক্সচেঞ্জ দেখিয়ে দেন। তখন পথ দেখিয়ে দিলেও সঙ্গে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ওই ব্যক্তি।   

অনুরোধ রাখতে শাহিন ওই ব্যক্তির সঙ্গে মানি এক্সচেঞ্জে যান। মানি এক্সচেঞ্জে থেকে ১০০ রিয়াল পরিবর্তন করে টাকা নেন ওই ব্যক্তি। এআর মানি এক্সচেঞ্জ থেকে বের হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি শাহিনকে জানান, তার কাছে আরও অনেক সৌদি রিয়াল আছে। যা মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ে একটু কম মূল্যে ৯ লাখ রিয়াল ৯ লাখ টাকায় দিতে পারবেন। 

এমন প্রস্তাবে ডাক্তার শাহিন ভাবেন বোন হজ্ব করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাবেন বলে সেই দেশের রিয়াল প্রয়োজন হওয়ায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে রিয়াল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। 

এরপর ১ মার্চ সেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি শাহিনকে ফোন করে রিয়াল নিতে বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ যেতে বলেন। তার কথা মতো সেখানে যান। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে আসা ২ জন তাকে একটি ব্যাগ দেন। 

অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানান, ব্যাগের মধ্যে ৯ লাখ রিয়াল আছে। মাহবুবুল আলম সরল বিশ্বাসে ব্যাগটি নিয়ে নগদ ৯ লাখ টাকা দেন। পরে বাসায় গিয়ে ব্যাগটি খুলে ভেতরে পেপার গামছা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। প্রতারণার বিষযটি বুঝতে পেরে বনানী থানায় মামলা করেন এই চিকিৎসক।

ওসি বলেন, চিকিৎসক শাহিন তখন বনানী থানায় মামলা করেন। মামলার পর বনানী থানা পুলিশ গত ২১ মে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে লিয়াকত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল (২৫ মে) বৃহস্পতিবার রাতে চক্রের বাকি ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অত্যন্ত কৌশলে এ ধরনের প্রতারণা করছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগার পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
 
সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!