• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লুব-রেফের কাট অফ প্রাইস ৩০ টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৯, ২০২০, ০৭:১৪ পিএম
লুব-রেফের কাট অফ প্রাইস ৩০ টাকা

ফাইল ছবি

ঢাকা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিলামে ‘বিএনও’ ব্র্যান্ডের লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের কাট-অফ প্রাইস ৩০ টাকা নির্ধারন হয়েছে। ৭২ ঘন্টার নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত দরের আলোকে এই দর নির্ধারন হয়েছে।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এই কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনের জন্য গত ১২ অক্টোবর বিকাল ৫টায় নিলাম শুরু হয়। যা শেষ হয় ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫টায়।

কোম্পানিটির নিলামে সর্বনিম্ন ১৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন অংশ গ্রহণকারীরা। সবচেয়ে বেশি ১৪ জন করে ২৫ টাকা ও ৫৫ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ জন ২৭ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন।

এর আগে গত ২০ আগস্ট লুব-রেফের বিডিং অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। লুব-রেফ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, লুব্রিক্যান্টস শিল্পে দেশকে স্বনির্ভর করে বিদেশে রপ্তানি করার লক্ষ্যে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াবে। কোম্পানিটি ‘বিএনও’ ব্র্যান্ডের লুব্রিক্যান্টস বাজারজাত করে। বেইস অয়েল রিফাইনারি প্লান্টে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে কম্পানি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে লুব্রিক্যান্টসের সম্ভাবনা দেখে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। জানা যায়, লুব্রিক্যান্ট শিল্পে লুব রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বর্তমানে মার্কেট শেয়ার ১০ শতাংশ। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে লুব্রিক্যান্টসের বাজারের ২০ শতাংশে নিতে চায়। এ লক্ষ্যে আধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এই খাতের বিপুল চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল থিম পার্ক প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে দেশের সর্বপ্রথম বেইস অয়েল রিফাইনারি প্লান্ট স্থাপন করবে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে রয়েছে কম্পানির বর্তমান প্লান্ট। দ্বিতীয় প্লান্ট স্থাপন করবে কর্ণফুলী নদীর তীরে জুলদায়।

প্রতিবছর দেশে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিন টন লুব্রিক্যান্ট চাহিদা রয়েছে। শিল্পায়ন বাড়ায় লুব্রিক্যান্টের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। উন্নত বাংলাদেশের সোপানে এগিয়ে শিল্পায়ন যতই বাড়বে, লুব্রিক্যান্টের ব্যবহার ততই বাড়বে। তবে এই লুব্রিক্যান্টের বড় অংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। লুব্রিক্যান্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। পোড়া লুব্রিক্যান্ট মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়, যা জমির উর্বরতা কমায়। পানিতে পড়লে ভেসে থাকে।

কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০২৯ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.০৮ টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩১.৯৩ টাকা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) হয়েছে ২৫.৯৬ টাকা।

উল্লেখ্য ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.২৩ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

সোনালীনিউজ/এলএ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!