• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকিং খাত বিকলাঙ্গ, এতিম!


বিশেষ প্রতিনিধি এপ্রিল ১৭, ২০১৮, ০৪:৩০ পিএম
ব্যাংকিং খাত বিকলাঙ্গ, এতিম!

ঢাকা : দেশের ব্যাংকিং খাত এখন বিকলাঙ্গ। এতিমে পরিণত হয়েছে। এমন দাবি করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির, অথচ ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন তিনি। বিনিয়োগ না বাড়ায় আয়হীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, চলতি অর্থবছর রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়াবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে কমপক্ষে ১১০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করে সিপিডি।

এছাড়া, ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা করারও প্রস্তাব দেয় সংস্থাটি।

এদিকে ব্যাংকিং খাতের অদক্ষতায় বছরে জিডিপির এক শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। টাকার অংকে যা ১০ হাজার কোটি। গবেষণা সংস্থা সানেমের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চিত্র।

গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় সংস্থাটি বলছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সুশাসন নিশ্চিতে জোর দিতে হবে।

দেশের ৫৭টি ব্যাংকের অবলোপন সহ মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।

পাশাপাশি ব্যাংক খাতের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে মানুষের আস্থা কমছে। সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত ৯০ ভাগ ছাড়িয়েছে।

জিডিপিতে ব্যাংক খাতের অবদান প্রায় ৩ ভাগ। গবেষণা সংস্থা সানেম বলছে, অদক্ষতার কারণে এ খাতে বছরে ক্ষতি হয় ১০ হাজার কোটি টাকা।

সানেম বলছে, বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়লেও, সেই তুলনায় বাড়েনি বিনিয়োগ। এর অর্থ, সঠিক ব্যক্তির কাছে ঋণ যায়নি।

নির্বাচনের বছরে যেন অবকাঠামো উন্নয়নের নামে অতিরিক্ত অপচয় না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেয় সানেম।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!