• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০১:২১ পিএম
আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ঢাকা : আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত দশ বছরে, অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হলেও, সেবা সহজ করার ক্ষেত্রে নজর দেয়া হয়নি। তবে এবার এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

রপ্তানির সময় বাংলাদেশের ব্যবাসায়ীদের সীমান্তে গড়ে খরচ হয় ৪০৮ টাকা। যেখানে ভারতের ব্যয় ২৫১, মালয়েশিয়াতে আরও কম ২১৩। ভিয়েতনাম আর কম্বোডিয়ান ব্যবসায়ীদেরও বাংলাদেশের চেয়ে খরচ কম।

বিশ্বব্যাংকের বিদেশী বাণিজ্যের বাদবাকি যেসব সূচক রয়েছে সবগুলোতেই বাংলাদেশের অবস্থান সবার পেছনে। অথচ, গত ১০ বছরে এ অঞ্চলে সড়ক মহাসড়কের উন্নয়নে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উন্নত অবকাঠামো চেয়ে বন্দর ব্যবস্থাপনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র উন্নত অবকাঠামো ব্যবহার করে কিন্ত ব্যবসার ব্যায় কমিয়ে আনা সম্ভব না। বন্দর অব্যবস্থাপনার কারণে একজন রপ্তানী কারককে যদি বন্দরে ৭/৮দিন অপেক্ষা করতে হয় তবে উন্নত আবকাঠামো তার কোন কাজে আসবে না।’

যদিও প্রকৃত অবস্থা ততটা শোচনীয় নয় বলে দাবি এফবিসিসিআই সভাপতির। এফবিসিসিআইের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের সকল তথ্যই সঠিক নয়। যেমন পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংক একটি অভিযোগ তুলেছিল সেটি কি সত্যি ছিল? সুতরাং আমাদের দেখতে হবে তথ্যটি কতটা সত্যের কাছাকাছি।’

এরইমধ্যে বহি:বাণিজ্যের সমস্যা চিহ্নিত করেছে সরকার। এমন দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর। সমাধানও মিলবে শিগগিরই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি ভারতীয় প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আমরা খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবো। আমি আশাবাদি এ আবস্থার উন্নতি করতে পারবো।’

বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি, ব্যবসা সহজ করতে কাজ করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও। এর আগে গত সপ্তাহে পরিকল্পনামন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যেই ব্যবসা করার পরিবেশ সহজ হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!