• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষ গড়ার কারিগররা কাঁদছেন প্রেসক্লাব প্রান্তরে


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৫:৫৩ পিএম
মানুষ গড়ার কারিগররা কাঁদছেন প্রেসক্লাব প্রান্তরে

ঢাকা: নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের শ্রমের মূল্য দিয়ে দুবেলা খাবার খেতে এবং নিজেদের মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি পেতে প্রেসক্লাব প্রান্তরে গণজমায়েতে রাষ্ট্র মায়ের কাছে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষক-কর্মচারীদের গণজমায়েতে সকাল থেকেই এ চিত্র দেখা যায়।

এদিন নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল উজিরপুর জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডক্টর বিনয় ভূষণ রায় বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার যে সকল নিয়মকানুন যত জন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-কর্মচারী রাখা আবশ্যক তার প্রত্যেকটি নিয়ম-কানুন মেনে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরও আমরা ৫২৪২ প্রতিষ্ঠান এমপিও পাচ্ছি না ফলে আমাদের অমানবিক জীবনযাপন করতে হচ্ছে অর্থাভাবে আমাদের সন্তানদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বি কে নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, অত্যন্ত মানবেতরভাবে পরের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে টিউশনি করে সংসার চলছে। উৎসবে সন্তানদের নতুন কাপড় কিনে দিতে পারিনি। মৌলিক চাহিদা মেটাতে যেখানে হিমশিম খায় সেখানে নতুন কাপড় বিলাসিতা।

এদিকে, অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া পঞ্চগড়ের ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ রোকন উদ্দিন বলেন, দারিদ্রতার কষাঘাতে আমরা জর্জরিত ক্ষুদ্র জমি চাষাবাদ করে কোন রকমে টেনেটুনে সংসার চলে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ হাসিবুল হক জানান, ১০ বছর হল বেতন পায় না এভাবে আর কিভাবে চলবে, তাই রাস্তায় কলম বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দুটো ভাত খাই।

বিষয়টি নিয়ে এমপিওর দাবিতে অংশ নেওয়া ভোলা লালমোহন উপজেলার উত্তর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট মোহাম্মদ নুর উদ্দিন জানান, দারিদ্রতার কারণে সংসারে কোন টাকা দিতে পারি না তাই অন্য ভায়েরা আমাকে আলাদা করে দিয়েছে। এখন ছোটখাটো একটা ব্যবসা করে একটা টিউশনি করে খেয়ে বেঁচে আছি।

সোনালীনিজউ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!