• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩০

নায়করাজ রাজ্জাকের ৮৩তম জন্মদিন আজ


বিনোদন প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
নায়করাজ রাজ্জাকের ৮৩তম জন্মদিন আজ

ঢাকা: সিনেমার নায়ক হওয়ার অদম্য স্বপ্ন ও ইচ্ছা নিয়ে চলচ্চিত্রে পা রেখে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সাদাকালো থেকে রঙিন পর্দায় নিজের সাবলীল অভিনয় দিয়েই সাধারণ থেকে হয়েছেন কিংবদন্তি। বলছি প্রয়াত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের কথা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এই কিংবদন্তির জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজ ৮৩ বছরে পা রাখতেন রাজ্জাক। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

কখনও নীল আকাশের নিচে হেঁটেছেন রোমান্টিক নায়ক হয়ে, কখনও হাজির হয়েছেন পিতার বেশে কখনও বা আবার হয়েছেন সংগ্রামী যোদ্ধা। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে ফুটিয়ে পর্দায় তুলতে কোনো জুড়ি ছিল না তার।

এবার রাজ্জাকের জন্মদিন ঘিরে বিশেষ কোনো আয়োজন থাকছে না বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অভিনেতার ছোট ছেলে সম্রাট জানান, তার বাবার কবর জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালন করবেন তারা।

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। চলচ্চিত্রে নায়করাজ নামে পরিচিত হলেও তার পরিবারিক নাম আবদুর রাজ্জাক। কলকাতার থিয়েটারে অভিনয় করার মাধ্যমে রাজ্জাক নিজের অভিনয় জীবনের শুরু করেন।

১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্মালয়তে সিনেমার ওপর পড়াশোনা ও ডিপ্লোমা শেষ করেন রাজ্জাক। এরপর কলকাতায় ফিরে এসে শিলালিপি ও আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। তবে ১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কবলে পড়ে রাজ্জাক তার পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন।

ঢাকায় এসেও চলচ্চিত্রের নায়ক হওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন রাজ্জাক। তবে প্রথমেই এতে সফলতা না পেয়ে সিনেমার একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে ‘উজালা’ সিনেমায় পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।

ষাটের দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকায় তার অভিনয় জীবনের সূচনা করেন রাজ্জাক।

এরপর প্রতিভাবন নির্মাতা জহির রায়হানের লোক সিনেমা ‘বেহুলা’—তে রাজ্জাককে লখিন্দরের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ করে দেন। আর এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু তার। ‘বেহুলা’সিনেমায় সুচন্দার সঙ্গে জুটি বেঁধে নায়ক হিসেবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন রাজ্জাক। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

সত্তর ও আশির দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠেন রাজ্জাক। ক্যারিয়ারে তিনশ’র বেশি চলচ্চিত্রের নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। রাজ্জাক অভিনীত দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, মধু মিলন, পীচ ঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, জীবন থেকে নেওয়া, কী যে করি, অবুঝ মন, রংবাজ, বেঈমান, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, অনন্ত প্রেম, বাদী থেকে বেগম ইত্যাদি।

দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে রাজ্জাক-সুচন্দা, রাজ্জাক-কবরী ও রাজ্জাক-শাবানা ও রাজ্জাক-ববিতার অনেক সিনেমা দর্শক হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি ঢালিউডের নায়ক রাজ উপাধিতে ভূষিত করেছে রাজ্জাককে। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!