• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসতভিটায়


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ০৭:১৪ পিএম
অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসতভিটায়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত প্রত্যাবাসন চুক্তি, জাতিসংঘের ‘সেইফ জোন’ ও আন্তর্জাতিক চাপকে তোয়াক্কা না করে রোহিঙ্গাদের বসতভিটার চিহ্ন মুছে ফেলছে মিয়ানমার সরকার। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসতভিটায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল।

গত ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও হত্যা থেকে বাঁচতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। সে সময় দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি অংশকে হত্যা ও অন্যদের বাস্তুচ্যুত করে। 

এদিকে, মিয়ানমার সরকার সে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাগর তীরবর্তী রাখাইন-আরাকানে সরিয়ে আনছে বড় বড় শিল্প-কলকারাখানা, বাণিজ্যিক স্থাপনা। দুই বছর আগেই মংগদু শহরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হয়েছে। 

এ বিষয়ে রাখাইন অঞ্চলের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী উ খেওয়া আই থেইন ‘ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার’কে জানায়, এর আগে মিয়ানমার সরকার রাখাইনের ওই এলাকায় ‘ট্রেড জোন’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু এখন সেটিকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নীত করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের ‘দ্য ইরাবতি’ জানায়, রাখাইনে এশিয়া অঞ্চলের দুটি বৃহৎ রাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছে। এর ফলে রাখাইনের এসব জমি খালি করার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর আগ্রহ বাড়ে। রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৫৫নং ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের দখল করা ৩৫.৫ একর কৃষি জমির ওপর চারটি বিলাসবহুল হোটেল গড়ে উঠেছে। সেখানে বহু হোটেল-স্থাপনাও বেসরকারিভাবে এরই মধ্যে গড়ে উঠছে। 

বিষয় নিয়ে কান্ট্রি রিস্ক সল্যুশনসের প্রতিষ্ঠাতা ও ভার্চুয়াল টেরর বইয়ের লেখক ড্যানিয়েল ওয়াগনার বলেন, রাখাইনের তেল ও গ্যাসের কারণেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দিয়ে বিদেশি শক্তিগুলো রোহিঙ্গাদের উৎখাত করিয়েছে। এখন সেই ভূমিতে তারা কার্যসিদ্ধি করছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!