ফাইল ছবি
ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল কার্যকর হবে কিনা এবং কবে তা বাস্তবায়িত হবে-এ নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে সরকারি কর্মীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই নতুন পে-স্কেল চালু হবে কি না এবং জাতীয় বেতন কমিশন কবে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।
জাতীয় বেতন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরের সচিবদের সঙ্গে একাধিক দফায় বৈঠক করেছে। কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদনের আগে সচিবদের মতামত জানতে চার ধাপে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি সভায় ১৭ বা তার বেশি সচিব অংশ নেন এবং অধিকাংশই 'বাস্তবসম্মত সুপারিশ'-এর পক্ষে মত দিয়েছেন।
কমিশনের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, কিছু সংগঠন বর্তমান বেতনের তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধির দাবি তুললেও সচিবরা এই ধরনের অতিরিক্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেননি। সচিবদের মতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় বেতন বাড়ানো প্রয়োজন, তবে সরকারের আর্থিক সক্ষমতাকেই প্রাধান্য দিতে হবে। তারা সুপারিশ করেছেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় কতটা বৃদ্ধি পেতে পারে, তা হিসাবের মধ্যে রাখা হোক।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সচিবদের দেওয়া মতামতগুলো বর্তমানে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পে-কমিশন জানিয়েছে, সুপারিশে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ, গ্রেড পুনর্বিন্যাস এবং ন্যায্য সমন্বয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের অর্ধেকের বেশি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী মাসেই চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএইচ







































