• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গণভোটে এগিয়ে এরদোয়ান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১৬, ২০১৭, ১০:১৫ পিএম
গণভোটে এগিয়ে এরদোয়ান

ঢাকা: প্রেসিডেন্ট শাসিত শাসন ব্যবস্থার দিকেই এগোচ্ছে তুরস্ক। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করে প্রেসিডেন্ট শাসিত ব্যবস্থা চালুর জন্য রোববার (১৬ মার্চ) গণভোট দেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। 

রোববার ৯টা ৫৫মিনিটে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশটির রাষ্ট্রিয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির প্রতিবেদন আনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে আর্থাৎ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৫৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর পরিবর্তনের বিপক্ষে আর্থাৎ ‘না’ ভোট পড়েছে ৪৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এদিকে প্রবাসী তুর্কি ভোটের দিকেও অনেক এগিয়ে রয়েছে সংবিধান পরিবনের দিকে।

গত জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরে নিজের অবস্থান জোরালো করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দেশব্যাপী আটক অভিযান চালিয়ে দমন করেছেন বিরোধীদের। সিরিয়ায় হামলাচালিয়েছেন। এবার নিজের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আরো জোরদার করতেই এই গণভোট আয়োজন করেছেন।

এরদোয়ানের সমালোচকরা বলছেন। তিনি দেশটিতে স্বৈরশান পরিচালনা করতেই এই ভোটের আয়োজন করেছেন।

দেশজুড়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি তুর্কি নাগরিক নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে মত প্রকাশ করছেন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হলে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন করা হবে। আর এতে অগাধ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। আর ‘না’ এর পক্ষে জনমত বেশি থাকলে বহাল থাকবে বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থা। গণভোটে জয়ের মাধ্যমে দেশের পার্লামেন্ট ব্যবস্থা আমূল বদলে দিতে চান এরদোয়ান। 

গণভোটে জয়ী হলে পার্লামেন্ট সদস্যদের সংখ্যা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে। জারি হবে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী শাসন কাঠামো। একজন প্রেসিডেন্ট ৫ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ দুবার ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিন অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর। সেই হিসেবে আজকের গণভোটে জয়ী হলে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে পারবেন এরদোয়ান।

বাতিল হবে প্রধানমন্ত্রীর পদ। এর বদলে এক বা একাধিক পছন্দের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিতে পারবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। পাবেন সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রী নিয়োগ এবং বিচারিক কাজ চালানোর একচ্ছত্র ক্ষমতা।

প্রেসিডেন্ট একাই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পার্লামেন্টের অনুমতি লাগবে না। নিজ ক্ষমতায় পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট আর মন্ত্রীদের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করতে পারবে না। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। এজন্য দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন লাগবে।

বিশ্লেষকদের মতে, আজকের গণভোট যতটা না তুরস্কের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক তার চেয়ে এরদোয়ানের ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক। 

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!