ধর্ষণ থেকে বাঁচতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!

ঢাকা: অনৈতিক প্রস্তাব, উত্ত্যক্ত এবং ধর্ষণের চেষ্টা করায় লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যার করলো এক কিশোরী স্কুলছাত্রী (১৬)! ন্যাক্করজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোমস্তপাড়ায়।

ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে যাতায়াতের পথে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করত স্থানীয় এক যুবক। এজন্য সে জন্য লজ্জায়, অপমানে আত্মহত্যা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পরিবারের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জলপাইগুড়ি শহর পুলিশ সূত্র জানায়, গোমস্তপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করেছে, মাসখানেক ধরে রাহুল সরকার নামে স্থানীয় এক যুবক স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করত, তাকে কুপ্রস্তাবও দিত।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের অন্তর্গত সাইকেল নিতে স্কুলে যায় ওই স্কুলছাত্রী। সে সময়ই তাকে ফের কুপ্রস্তাব দেয় রাহুল। তাতে রাজি না হওয়ায় রাহুল ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাড়ি ফিরে কাঁদতে কাঁদতে কিশোরী ঘটনাটা তার পরিবারকে জানায়।

ওই ছাত্রীর জ্যাঠা শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়িতে কেউ ছিল না। এসময়য় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।

শ্যামল সরকার আরো জানায়, রাহুল ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছে গৃহশিক্ষক চন্দন আনসারি তা আগেই জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে রাহুলকে সতর্কও করা হয়। তবে তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

ঘটনার পর গত রাতেই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকেই গা-ঢাকা দেয় রাহুল। তার খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে মাটিগাড়ায় এক আত্মীয়ের  বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাহুলকে।

বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিলে এলাকায় মেয়েদের রাহুল প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত বলে দাবি পুলিশের। যদিও পুলিশের কাছে রাহুলের দাবি তিন মাস ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম