• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী

বর্ষায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ইঙ্গিত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২১, ২০১৮, ০২:২১ পিএম
বর্ষায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ইঙ্গিত

ঢাকা : আসন্ন বর্ষায় কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উ উইন মিয়াত আয়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করা এই মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১-১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করেন মিয়াত আয়ে। এ সময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন। সফর শেষে এই প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করলেন সু চি সরকারের এই মন্ত্রী। আয়ে বলেন, ‘শিবিরগুলোতে বসবাসরতদের অবস্থা খুবই করুণ। আমাদের প্রধান কাজ হলো, দ্রুত প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা। কারণ, বর্ষা সন্নিকটে। আমরা উদ্বিগ্ন, ওই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়াদের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।’

তিনি বলেন, ফিরতে চাওয়াদের অবশ্যই ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ডের (এনভিসি) জন্য আবেদন করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য এটি নাগরিকত্ব লাভের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও উলে­খ করেন তিনি। তবে কোন পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বা এর সময়সীমা নিয়ে কিছু বলেননি মন্ত্রী।

মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে দেরির বিষয়ে আবারো বাংলাদেশকে দায়ী করেন মিয়াত আয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিবিরে থাকা শরণার্থীদের মাঝে এখনো প্রত্যাবাসন ফরম বিতরণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা) এই ফরমের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।’

সম্প্রতি ১০ সদস্যবিশিষ্ট মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ সফরে প্রতিনিধিত্ব করেন মিয়াত আয়ে। ওই সফরে তিনি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাটের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপে এদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও তা এখনো শুরু করেনি মিয়ানমার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!