• ঢাকা
  • রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

সন্তান নিতে পারছেন না, খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭ খাবার


লাইফস্টাইল ডেস্ক জুলাই ৭, ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
সন্তান নিতে পারছেন না, খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭ খাবার

ঢাকা: বর্তমান সময়ে অনেক দম্পতিরই সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ছাড়াও ভুল খাদ্যাভ্যাসও গর্ভধারণে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠছে।

তবে আশার খবর হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে প্রাকৃতিকভাবেই নারীর প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করা সম্ভব। তাই ভবিষ্যতে সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে এখন থেকেই খাবারের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।

কীভাবে খাবার প্রভাব ফেলে সন্তান ধারণের ওপর?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনসহ প্রজনন সংশ্লিষ্ট হরমোনগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করে। এ ছাড়া ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমানো ও ওভারিয়ান ফাংশন উন্নত করার মধ্য দিয়ে মাসিক চক্র স্বাভাবিক করে এবং ডিম্বাণু উৎপাদনে সহায়তা করে।

সন্তান ধারণে সহায়ক ৭টি প্রাকৃতিক খাবার:

সবুজ শাকসবজি (স্পিনাচ, পালং, ব্রোকলি):ফোলেট ও আয়রনে ভরপুর এসব খাবার ডিম্বাণুর স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।

ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ (স্যালমন, সার্ডিন): এই ধরনের মাছ হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখে ও শরীরের প্রদাহ কমিয়ে ফার্টিলিটি উন্নত করে।

ডিম: উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও কোলিন ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।

বাদাম ও বীজ (আখরোট, চিয়া বীজ): স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা হরমোন ব্যালেন্সে সাহায্য করে।

বেরি জাতীয় ফল (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি): অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এসব ফল ডিম্বাণুর কোয়ালিটি ভালো রাখতে সহায়ক।

মিষ্টি আলু: বিটা ক্যারোটিন ও আয়রনের উৎস এই খাবার হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে।

গ্রিক দই বা টকদই: প্রোবায়োটিক থাকায় অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং হরমোন কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত: অতিরিক্ত চা বা কফি (ক্যাফেইন), ট্রান্স ফ্যাট ও ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত চিনি ও মিষ্টি,কোল্ড ড্রিঙ্কস, সোডা জাতীয় পানীয়

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সেটাই নির্ধারণ করে দিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রজনন সক্ষমতা। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হরমোন ঠিক থাকে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে—ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বাড়ে।

উল্লেখ্য, সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুই মানসিক বা পারিবারিক প্রস্তুতি নয় এটি একটি শারীরিক প্রস্তুতির অংশও বটে। আর সেই প্রস্তুতির সবচেয়ে কার্যকর ধাপ হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তাই যারা ভবিষ্যতে মা হতে চান, তারা আজ থেকেই প্লেটটা গুছিয়ে নিন। কারণ, সামান্য সচেতনতা হয়তো এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত মাতৃত্বের সুখবর।

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!