• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনিদ্রায় ঘুমের ওষুধ আর নয়


লাইফস্টাইল ডেস্ক মে ১৩, ২০২২, ১০:১৭ পিএম
অনিদ্রায় ঘুমের ওষুধ আর নয়

ঢাকা:  অনিদ্রায় যারা ভোগেন তারাই এর যন্ত্রণা বোঝেন। সারা রাত এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দেন ঘুমের আশায়। কিন্তু চোখে ঘুম আসে না।

তারা অনেকেই ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধের সাহায্য নিয়ে থাকেন। অনেকে ডাক্তারের পরামর্শে স্লিপিং পিলের সহায়তা নিয়ে থাকেন ঘুমের জন্য। আবার অনেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে স্লিপিং পিল খেয়ে থাকেন। কিন্তু ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

তাহলে উপায়! কিছু সাধারণ খাবারও হতে পারে আপনার ঘুমের ওষুধের বিকল্প। এগুলোর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই অনিদ্রার সমস্যার সমাধানের জন্য নির্ভয়ে এবং নির্বিঘ্নেই খেতে পারেন এই সব খাবার। জেনে নিন তেমনই কিছু খাবারের সম্পর্কে, যেগুলো হতে পারে আপনার ঘুমের ওষুধের বিকল্প।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে৷

কাঠবাদাম: 
কাঠবাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। কারণ কাঠবাদামের ভিটামিন ও মিনারেলস আমাদের নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কাঠবাদামের মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের উদ্রেক করে। জার্নাল অফ অর্থমলিকিউলার মেডিসিনের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়, ‘যখন আমাদের দেহে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন আমাদের অনিদ্রার সমস্যা শুরু হয়, কাঠবাদাম এই ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দেয়’।

মধু: 
ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাত্র ১/২ চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস ঘুমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় মধুর প্রাকৃতিক চিনি আমাদের দেহের ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ট্রাইপ্টোফেন নামক হরমোন খুব সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে ঘুমের উদ্রেক হয়।

কলা: 
নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, ‘ঘুম না আসলে একটি কলা খেয়ে নিন, কলার পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে’। কলার ম্যাগনেসিয়ামও আমাদের মাংসপেশি শিথিল করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মাইকেল ব্রেউস বলেন, ‘ঘুমুতে যাওয়ার আগে কলা খান বা কলার স্মুদি তৈরি করে পান করুন, ঘুম আপনাআপনিই চলে আসবে’।

ওটমিল: 
যারা ওজন সমস্যায় থাকেন তারা অনেকেই ওটমিল খেয়ে থাকেন। ওটমিলে আছে ঘুমে সহায়ক মেলাটোনিন। তাই রাতের খাবার হিসেবে ওটমিল খেলে একদিকে আপনার ওজনটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, অন্য দিকে আপনার রাতের ঘুমটাও ভাল হবে।

মিষ্টি আলু: 
মিষ্টি আলু পটাশিয়ামের অনেক ভালো একটি উৎস যা আমাদের মাংসপেশি, নার্ভ শিথিল করতে কাজ করে। এতে করে আমাদের মস্তিষ্কও অনেকাংশে রিলাক্স হয়। নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, ‘মাত্র অর্ধেকটা পরিমাণে মিষ্টি আলু ঘুমের জন্য অনেক ভালো কারণ এতে গয়েছে পটাশিয়াম এবং কার্বস’।

দুধ: 
ঘুমের ঔষধের মতো কাজ করতে বিশেষভাবে কার্যকরী যে খাবারটি তা হচ্ছে দুধ। গবেষকগণ বলেন দুধের ক্যালসিয়াম মেলাটোনিন উৎপন্ন করে যা আমাদের দেহের ২৪ ঘণ্টার ঘুম ও জেগে থাকার সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই ঘুম না আসলে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ পান করে নিন। দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।

ডিম: 
ঘুমের জন্য কার্যকরী আরেকটি খাবার হল ডিম। গবেষণায় দেখা যায় ডিম উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যা পুরোরাত নিশ্চিন্তে ঘুমুতে সাহায্য করে থাকে। তাই রাতের খাবারে রাখুন সেদ্ধ ডিম অথবা প্রোটিন সমৃদ্ধ কোনো খাবার।

হারবাল চা বা গ্রিন টি: 
গ্রিন টী বা হারবাল চায়ে রয়েছে থায়ানিন যা ঘুমের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ১ কাপ গ্রিন টী বা অন্য যে কোনো হারবাল চা অনিদ্রা দূর করতে, গভীর ঘুমুতে এবং ঘুমের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!