ঢাকা: মেয়েদের ঠোঁট হওয়া চাই লাল। সাজ সজ্জার পরও অনেকের ঠোঁট লাল না হওয়া নিয়ে আক্ষেপ থাকে। তবে কারিনা ও দীপিকার মতো অভিনেত্রীদের লাল ঠোঁট দেখে অনেকে অবাক হন; কীভাবে তারা ঠোঁট এত লাল করেন। রহস্য কি? তারা কি শুধু লিপস্টিক ব্যবহার করেন; নাকি অন্য কিছু?
বলিউডের বেশিরভাগ অভিনেত্রীদের লাল রঙের লিপস্টিকে দেখা যায়। তবে ঠোঁট লাল করতে শুধু লিপস্টিক নয়, আরো কি কৌশল ব্যবহার করা হয় জেনে নিন।
প্রথমত, ঠোঁটের ত্বককে এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ঠোঁটে শুষ্ক, ফাটা চামড়া না থাকে। চামড়া উঠলে যত উপকরণ ব্যবহার করা হোক না কেন তা ভালো দেখাবে না। এজন্য ঠোঁট আর্দ্র, নরম হলে তবেই লিপস্টিক ব্যবহারের পর তা দেখতে ভালো লাগে। সে কারণে শুরুতেই দরকার এক্সফোলিয়েশন। যদি কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মনে হয়, ঠোঁট শুকিয়ে চাম়ড়া উঠছে, তা হলে প্রথমেই পেট্রোলিয়াম জেল, নারকেল তেল বা ঠোঁটের কোনও ক্রিম ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। তার পর খুব নরম দাঁত মাজা ব্রাশের সাহায্যে তা আলতো করে ঘষতে হবে। এতে ঠোঁটের শুষ্ক চামড়া ও মৃত কোষ উঠে যাবে।
দ্বিতীয়ত, কারো ঠোঁটে কালচে ভাব আবার কারো ঠোঁটে রঙের অসামঞ্জস্য থাকে। যে কোনো রং সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে হলে, সেই খুঁত ঢাকা দরকার। এ কাজে সাহায্য করবে ফাউন্ডেশন। এ জন্য ঠোঁটের প্রাইমারও ব্যবহার করতে পারেন।
তৃতীয়ত, ফাউন্ডেশন খুব ভালো করে ঠোঁটে মিলিয়ে নেওয়ার পর লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট একে নিন। বেশি চওড়া ঠোঁট হলে লাইন টানতে পারেন একটু ভেতর দিয়ে আবার সরু ঠোঁট হলে নিয়ম হবে ঠিক উলটো। তবে গাঢ় নয়, বেছে নিতে পারেন হালকা বা ন্যুড রঙ।
চতুর্থত, ক্রিমি ম্যাট লিপস্টিক, লিকুইড ম্যাট, লিকুইড গ্লস, নানা ধরনের লিপস্টিক হয়। মুখ, ত্বক এবং সাজের সঙ্গে মানানসই লালের কোনও শেড বেছে নিন। ঠোঁটের ধরন শুষ্ক হলে ক্রিমের মতো লিপস্টিক বা গ্লস জাতীয় লিপস্টিক বাছাই করতে পারেন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকার পর এটি ব্যবহার করতে হবে।
পঞ্চমত, লিকুইড লিপস্টিক চট করে ওঠে না। কিন্তু অনেক ধরনের লিপস্টিকেই চা-কফি খাওয়ার সময় কাপে দাগ পড়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে লিপস্টিক ব্যবহারের পর ব্লটিং পেপার চেপে ধরে, অতিরিক্ত লিপস্টিক উঠিয়ে দিতে পারেন। আবার টিস্যু পেপার দিয়ে চেপে অতিরিক্ত লিপস্টিক তুলে দিতেও পারেন।
ইউআর