• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটারভুক্তি শুরু


নীলফামারী প্রতিনিধি জুন ৯, ২০১৬, ০১:২৩ পিএম
বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটারভুক্তি শুরু

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চার জেলায় অবস্থিতি বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হতে যাচ্ছে। চলতি জুন মাসেই শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা করার প্রক্রিয়া।

বিলুপ্ত ছিটমহলের সীমানা ও ভোটার তালিকা নিয়ে জটিলতার কারণে চলতি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ২৭ ইউনিয়নের নির্বাচন ঝুলে রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে এসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাস উদ্দিন জানান, এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহল সংশ্লিষ্ট এলাকার ২৭টি ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করে একটি তালিকা তৈরি করেছে। যা ইসিতে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেই তালিকা ধরে ভোটার তালিকা করা হবে।

সূত্র মতে, দেশ বিভাগের ৬৮ বছর পর ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল সে দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়। আর বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল মূলভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ছিটমহলগুলো বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশের অভ্যান্তরে থাকা বিলুপ্ত এই ছিটমহলের মধ্যে লালমনিরহাটের ৫৯টি, পঞ্চগড়ের ৩৬টি, কুড়িগ্রামের ১২টি ও নীলফামারীর চারটি সিটমহল রয়েছে।

সূত্র থেকে আরো জানা যায়, ১৫ জুনের মধ্যে নতুন ভোটার এলাকা সৃজন ও কোড নম্বর প্রদান এবং ২৬ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে।

এরপর ১০ থেকে ১৬ জুলাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ এবং ১৭ থেকে ২৫ জুলাই ভোটারদের ছবি তোলা হবে। ১ আগস্ট প্রকাশ করা হবে খসড়া তালিকা। এরপর সংশোধন করে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এদিকে এ বিষয়ে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিলুপ্ত ছিটমহলের অধিবাসীরা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য রংপুর বিভাগের চার জেলার ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সাবেক ছিটমহলগুলো কোন ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হবে তার সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে কোনো ইউনিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই পাশের ইউনিয়নের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেজেট প্রকাশ হলে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে সাত দিনের বেশি সময় লাগবে না।

জানা যায়, এই বিভাগের চার জেলায় বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দা ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে ঊনিশ হাজার ২৫ জন, লালমনিরহাটে দশ হাজার ১৮ জন, কুড়িগ্রামে সাত হাজার ৭৪৭ জন এবং নীলফামারীতে পাঁচ হাজার ৪৪ জন।

ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে গত বছরের ১ আগস্ট থেকে তারা বাংলাদেশের নতুন নাগরিক। এসব নতুন নাগরিকের ৬০ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। সে হিসেবে ২০ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভোটার হওয়ার যোগ্য।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু তাদের বাংলাদেশি হিসেবে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম এখনো বাংলাদেশি হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়নি। তবে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!