ঢাকা: প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পদোন্নতির জন্য সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) প্রথম সভা বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা ২টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য প্রত্যেক কর্মকর্তার কর্মজীবনের সব নথিপত্র আলাদাভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির বিষয়সহ সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুগ্মসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিতে নিয়মিত হিসেবে ১৭তম ব্যাচকে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডার থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হবে। এ ছাড়া যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আগে পদোন্নতিবঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাকেও পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হতে পারে।
এবারের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ৩১২ জন যোগ্য কর্মকর্তা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত ১৭তম ব্যাচের রয়েছে ৮৩ জন কর্মকর্তা। বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) ৭ম ব্যাচের ২ জন, নবম ব্যাচের ১০ জন, দশম ব্যাচের ১৬ জন এগারতম ব্যাচের ৩৭ জন, ১৩তম ব্যাচের ৫৩ জন, ১৫তম ব্যাচের ৪১জনসহ ২৬১ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারের রয়েছে ৫১ জন কর্মকর্তা।
এর আগে গত বছরের ৬ এপ্রিল ৯৪ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।
সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’-এ বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের যুগ্মসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, মূল্যায়ন নম্বরের অন্তত ৮৫ নম্বর পেতে হবে। যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরিসহ ২২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে অতিরিক্ত সচিবের ২১২টি পদে কর্মরত রয়েছেন ৪২১ জন।
সোনালীনিউজ/এসআই/আইএ







































