ফাইল ছবি
ঢাকা: নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু একের পর এক সভা, সময়ক্ষেপণ আর অনিশ্চয়তায় তাদের হতাশা ক্রমেই বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্মচারীদের লেখা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠছে ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ।
রবিন সরকার নামে এক কর্মচারী লিখেছেন, একাধিক সভার কথা বলা হলেও বাস্তবে এগুলো শান্ত করার নাটক ছাড়া কিছু নয়। তাঁর মতে, তিনটি সভা শেষ করতেই এক মাসের বেশি সময় লাগবে, এরপর নির্বাচন সামনে রেখে বাস্তব পরিস্থিতি কী হবে, তা অনিশ্চিত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়ন না করেই বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
কর্মচারীদের অনেকে বলছেন, গত ১১ বছরে কোনো পে-স্কেল হয়নি, অথচ নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুন পে-স্কেল হওয়ার কথা। তাদের অভিযোগ, একের পর এক কমিশন সভা, সচিবদের বৈঠক ও উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনার কথা বলে কেবল সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে পে-স্কেলের অপেক্ষায় থাকা কর্মচারীরা জানান, বর্তমান বেতন কাঠামোয় পরিবার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মোশারফ হোসাইন নামে এক কর্মচারী লিখেছেন, পে-স্কেল না হলে বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
অন্য কর্মচারীরাও একই দাবি জানাচ্ছেন। মো. মোমিন লিখেছেন, সরকারি কর্মচারীরা ভিক্ষা চান না, বাড়ি বা গাড়ির স্বপ্ন দেখেন না; শুধু পেটের ক্ষুধা মেটাতে এবং সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে নবম পে-স্কেল চান। তিনি বলেন, ন্যূনতম জীবনযাপনের নিশ্চয়তা ছাড়া রাষ্ট্রের সেবা দেওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
তবে আবেগমিশ্রিত ভাষায় দীর্ঘমেয়াদি সংকটের কথাও তুলে ধরেছেন অনেকে। জোহা খান লিখেছেন, দেশের প্রায় ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবার মিলিয়ে তিন কোটির কাছাকাছি মানুষ এই পে-স্কেলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাদের কষ্ট, চোখের পানি আর দুশ্চিন্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
তার মতে, এতে কর্মচারীরা সম্মানের সঙ্গে পরিবার চালাতে পারবেন, ঋণ ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং রাষ্ট্রের সেবায় আরও মনোযোগী হতে পারবেন।
এসএইচ







































