• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

যেভাবে ওঠা-নামা, যত টাকা টোল


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ০১:২৬ পিএম
যেভাবে ওঠা-নামা, যত টাকা টোল

ঢাকা : আজ চালু হচ্ছে দেশের প্রথম দ্রুতগতির বাধাহীন উড়াল মহাসড়ক। এই উড়ালসড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাওয়া যাবে খুব কম সময়ে। যানজট পেরিয়ে ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকার এক প্রান্ত থেকে যাওয়া যাবে অন্য প্রান্তে। মানুষ চলাচল করতে পারবে রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে। এর আগে শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিভিন্ন জায়গা থেকে উড়ালসড়কে ওঠা-নামা করা যাবে। যানজট পেরিয়ে উড়ালসড়কে উঠে খুব কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে আরেক প্রান্তের গন্তব্যে।

রাজধানীর যানজট পেরিয়ে উড়ালসড়কের সুবিধা যারা নিতে চান, তাদের জানতে হবে কোথা থেকে সড়কে উঠবেন আর কোথায় নামবেন।

যারা পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড, সেগুনবাগিচা, শাহবাগ, ফার্মগেট থেকে এসে উড়ালসড়কে উঠতে চান, বিজয় সরণি ওভারপাস কিংবা তেজগাঁও এলাকায় যেতে হবে তাদের। বিজয় সরণি হয়ে র‍্যাংগস ভবন ভেঙে তৈরি ওভারপাসটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। আবার তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য। রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়ালসড়কে ওঠার এটিই সহজ পথ।

এ ছাড়াও যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে পারবেন। তবে উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের সুবিধাজনক সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড।

আরও পথ রয়েছে ঢাকা উড়ালসড়কে ওঠা-নামার। দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান- ১. হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা। ২. প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব। দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান- ১. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ। ২. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে। ৩. ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান- ১. বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন। ২. বনানী রেলস্টেশনের সামনে। উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান- ১. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে। ২. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক। ৩. কুড়িল বিশ্বরোড ৪. বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

এদিকে সেতু বিভাগের গণবিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) জানানো হয়, ঢাকা উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে ওঠা যাবে না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উড়ালসড়কে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না পথচারীরাও।

সেতু বিভাগের তথ্যানুসারে, মূল উড়ালসড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

উড়ালসড়কে চলাচলে টোল হার যানবাহনের শ্রেণিভেদে ভিন্ন। শ্রেণি-১: কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম), টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। শ্রেণি-২: মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত), টোল দিতে হবে ৩২০ টাকা। শ্রেণি-৩: ট্রাক (৬ চাকার বেশি), টোল দিতে হবে ৪০০ টাকা। শ্রেণি-৪: সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি), টোল দিতে হবে ১৬০ টাকা।

প্রসঙ্গত, ঢাকা উড়ালসড়কের (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক।

শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের (পিপিপি) ভিত্তিতে দ্রুতগতির উড়াল মহাসড়কের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ।

এমটিআই

 

 

 

Wordbridge School
Link copied!