• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীন দেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনাশিল্পের বিকাশ   


ড. বিমল গুহ জানুয়ারি ২২, ২০২১, ০৪:৫৬ পিএম
স্বাধীন দেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনাশিল্পের বিকাশ    

ঢাকা : মুদ্রণশিল্পের আবিষ্কার মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক বড় অর্জন। এক্ষেত্রে বড় অবদান চীন ও কোরিয়ার। আজ থেকে হাজার বছর আগে একাদশ শতকে প্রথম স্থানান্তরযোগ্য অক্ষর তৈরির চিন্তা করে তারা। এই ধারণার সফল বাস্তবায়ন অর্ধশতাব্দী পর পনেরো শতাব্দীতে। জার্মানির খোদাইশিল্পী ও মুদ্রক জোহানিস্ গুটেনবার্গ  স্থানান্তরযোগ্য অক্ষর দিয়ে কাগজে মুদ্রণের পন্থা আবিষ্কার করে সারা ইউরোপে বিপ্লব ঘটান— যা পুরো সমাজকে পাল্টে দেয়। বিজ্ঞান গবেষণার প্রসারও দ্রুতগতি হয় এর মাধ্যমে।

বাংলাদেশও প্রযুক্তির এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সমান তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। এসব ক্ষেত্রে প্রকাশনা-মাধ্যম সবসময় পালন করে এসেছে গুরুত্ববহ ভূমিকা । ভাবলে অবাক হতে হয়, এতকাল এ অঞ্চলে মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিক্ষার উপযোগী বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়নি। জ্ঞানের যে প্রসার— তাকেই আমরা বলি শিক্ষা। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। উচ্চশিক্ষা কখনো গতানুগতিকতার মধ্যে আবদ্ধ থাকে না। প্রতিনিয়ত নবতর জ্ঞানসৃষ্টির মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় অগ্রগতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করে, জাতিকে স্বাবলম্বী করে তোলার দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনাশিল্প দীর্ঘকাল নীতিনির্ধারকদের সুদৃষ্টির বাইরে থেকেছে। ফলে গড়ে ওঠেনি দক্ষ প্রকাশনা পেশাজীবী, আর এ পেশায় থেকে গেছে অদক্ষতার ছাপ। মুদ্রণ ও প্রকাশনাশিল্পকে বিশ্বমানে উন্নীত করা আজ সময়ের বড় দাবি।

প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষকে ছোটবেলা থেকেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মুদ্রিত বস্তুর সঙ্গে পরিচিত হতে হয়েছে। বয়সের চাহিদা অনুযায়ী তা যত আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয়েছে, ততই শিক্ষার্থীর কাছে গ্রহণীয় হয়েছে। অনেকের বেলায় এও দেখা গেছে, শিশুকালে পাঠের প্রতি জন্ম-নেওয়া আকর্ষণ পরবর্তীকালেও অব্যাহত থাকে। এটা সমাজের জন্য একটা বড় ইতিবাচক দিক। পাঠ্যবস্তুকে সুসম্পাদিত, সুমুদ্রিত ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য একজন প্রকাশককে যে ধাপগুলো পেরিয়ে আসতে হয় তা পাঠকের অগোচরেই থেকে যায়। এসব কারো জানার প্রয়োজন পড়ে না। এই না-জানা অধ্যায়ের দায়িত্বটুকুই পালন করে একজন প্রকাশনা নির্বাহী। কোথাও কোথাও প্রকাশনা দপ্তরে কমিশনিং এডিটর এ দায়িত্ব পালন করে। এটি প্রকাশনা সংস্থার অতীব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা জানার জন্য মুদ্রণ ও প্রকাশনার কৌশলগত পঠনপাঠন আবশ্যক।

মুদ্রণ-কৌশল প্রকাশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মুদ্রণের ধাপগুলো সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না-থাকলে একটি প্রকাশনাকে মানের জায়গায় উন্নীত করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। প্রকাশনা-সৌকর্য বলতে যা বোঝায়, তা সর্বৈব মুদ্রণমানের ওপর নির্ভর করে। সেজন্য সব সময়ই মুদ্রণ-প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের দিকটাকে অতীব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সাত-আট হাজারের মতো মুদ্রণ-প্রতিষ্ঠান আছে এবং আগামীতে  আরো নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বয়ের জন্য রয়েছে ‘বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতি’। ইতোমধ্যে সরকারও মুদ্রণশিল্প বিকাশে এগিয়ে এসেছে— পৃথক মুদ্রণশিল্প-এলাকা প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়। এটা একটা শুভ লক্ষণ। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রণশিল্পের বিকাশ সাধিত হয়েছে অনেক আগেই। যে কারণে তারা ক্রম-উন্নতির পথে অনেক ধাপ এগোনো আমাদের চাইতে। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও চীনে এই শিল্প বিকশিত হয়েছে অনেক আগে। তারা তাদের সৃষ্ট জ্ঞান মুদ্রিতরূপে রপ্তানি করে অর্জন করছে বৈদেশিক অর্থ। আর আমরা রয়েছি পিছিয়ে! একবিংশ শতকে আমরাও সেই লক্ষ্যে পৌঁছব— এই প্রত্যাশা আমাদের। সরকারের ভিশন-২০২১ সফলতার ক্ষেত্রেও এই খাতের উন্নয়ন বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। 

উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ রয়েছে বিধায় সেসব দেশ অনেক আগে থেকেই এক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। আমাদের দেশে যারা এ কাজে যুক্ত হয়েছেন, তাদের অনেকেরই মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ না-থাকায় তাদেরকে এ কাজ শিখে নিতে হয়েছে ঠেকে ঠেকে। তাতে কোনোমতে কাজ চালানো যায় বটে, কিন্তু তা মোটেই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের দক্ষতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে একাডেমিক কোর্স থাকলে আমাদের প্রকাশনাশিল্পের এই রুগ্ণ অবস্থা এতকাল বিরাজমান থাকত না।  স্বাভাবিকভাবে তা আমাদের জাতীয় উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারত। দেরিতে হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম চালু হওয়ায় আমাদের আশাবাদী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আমাদের জ্ঞানচর্চার বহু ক্ষেত্র আজ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত। সাহিত্যে, চারুশিল্পে কিংবা বিজ্ঞান গবেষণায় আমরা পিছিয়ে নেই। আমাদের মেধাবী বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রযুক্তিবিদদের অবদান বিশ্বে নন্দিত হচ্ছে। নিজেদের উদ্ভাবিত কৌশল কাজে লাগিয়ে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের বেড়েছে মাথাপিছু আয়। আমাদের কৃষিসহ সামগ্রিক অগ্রগতির রূপ এবং এর সুফল সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রকাশনা-মাধ্যম বড় ভূমিকা রাখে। গ্রন্থ প্রকাশের পাশাপাশি পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী/জার্নাল ইত্যাদিও এক্ষেত্রে পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এ কাজের সফলতা প্রথমত নির্ভর করে বিষয়-নির্বাচনের ওপর, দ্বিতীয়ত সঠিক সম্পাদনা ও তৃতীয়ত ভালো মানের মুদ্রণ-ব্যবস্থাপনা, সুনিপুণ বাঁধাই ইত্যাদির ওপর। যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের গ্রন্থও উপযুক্ত মান রক্ষা করতে না পারলে হারাতে পারে আকর্ষণ এবং তা জনগণ তথা যথার্থ পাঠকের অগোচরে থেকে যেতে পারে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রকাশনার এই ক্ষেত্রটিতেই রয়েছে বড় দুর্বলতা!

আমাদের মতো ক্রম-অগ্রসরমাণ দেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম চালুর আশু প্রয়োজন ছিল আরো আগে। এক্ষেত্রে যতই বিলম্ব হয়েছে, ততই আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের প্রকাশনাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তেমন মানসম্পন্ন হয়নি। ফলে পাঠক তৈরিতে যেমন ধীরগতি হয়েছে, বিশ্ববাজারেও আমরা তেমন জায়গা করে নিতে পারিনি। এমনকি আমাদের বড় বড় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রকাশনা পেশাজীবীর চাহিদা থেকে গেছে বছরের পর বছর। সে কারণেই প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের প্রকাশনার মানও অধোমুখী। মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ের পাশাপাশি সম্পাদনা বিষয়েও শিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ টেক্সটবুক বোর্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির বই প্রকাশনার ক্ষেত্রে সম্পাদনা ও প্রকাশনাজ্ঞানের অভাবে যে-বিপর্যয় ঘটে গেছে, সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়!

আমি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের দায়িত্ব গ্রহণ করি। কিন্তু আমার মূল আগ্রহের বিষয় মুদ্রণ ও প্রকাশনা থেকে আমি কখনো বিচ্যুত থাকিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে যুক্তরাজ্যস্থ  International Network for the Availability of Scientific Publication (INAPS)-এর সহযোগিতায় ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নাল প্রকাশনা বিষয়ে Strategic Journal Publishing Workshop আয়োজন করি। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থায় জার্নাল সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ২৪ জন অধ্যাপক-গবেষক অংশগ্রহণ করেন। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে একইভাবে ২০০৯ সালে পুনরায় Online Journal Publishing Workshop আয়োজন করি। সেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ২৩ জন অধ্যাপক-গবেষক অংশগ্রহণ করেন। আমি ওয়ার্কশপের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করি। বাংলাদেশে প্রকাশিত সব জার্নাল বিশ্বপাঠকের কাছে প্রাপ্য করতে সে সময় Bangladesh Journal Online সংক্ষেপে BanglaJOL নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করা হয়— যা ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে।  সেই সময়ে বাংলাদেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভূত হয়।

বাংলাদেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিশিং স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ খোলার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উপস্থাপন করি। এ ব্যাপারে প্রথম দিকে পরামর্শ করি আমার শিক্ষক কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির প্রকাশনা বিভাগের তৎকালীন প্রধান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রকাশনা-বিশেষজ্ঞ Mr. Ian Montagnes ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. ডালেমচন্দ্র বর্মনের সঙ্গে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে এবং একসময় প্রস্তাবটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করি। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে ২০১৪ সালে আমার এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়। তিনি প্রস্তাবটি অনুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী অল্প সময়ের মধ্যে তা পরিমার্জন করে ডিপার্টমেন্ট অব প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ নামে পুনরায় উপস্থাপন করি। আমার এই উদ্যোগের সহায়তায় এগিয়ে আসেন পলল প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী লেখক-প্রকাশক জনাব খান মাহবুব ও তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’ এবং সম্পাদনা-প্রকাশনা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ সম্পাদনা ও প্রকাশনা সমিতি’।

মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক ২০১৫ সালের মে মাসে অনুমোদিত হয়। আর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ড. সুধাংশু শেখর রায়কে চেয়ারম্যান নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। বিভাগটি প্রতিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশে মুদ্রণ ও প্রকাশনাশিল্পের দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষিত জনবলের চাহিদা ক্রমান্বয়ে পূরণের পথ সুগম হয়েছে এবং উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে পালন করেছে পথিকৃতের ভূমিকা। আগামীদিনে এই প্রশিক্ষিত জনবল আমাদের প্রকাশনাশিল্পকে বিশ্ববাজারে মানসম্মতভাবে উপস্থাপন করতে ও জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমাদের একুশের বইমেলা আজ বিশ্বের অন্যতম বড় বইমেলা। প্রতি বছর এই সময়ে চার হাজারের মতো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া সারা বছর বিভিন্ন জেলা শহরেও বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রকাশিত হচ্ছে হাজার হাজার বই। লেখা যথাযথ সম্পাদনা করে মানসম্মত রূপে প্রকাশ করে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বাকি সব সাধারণ মানের নিচে। প্রকাশনা সুসম্পাদিত না-হলে তা পাঠকের মধ্যে অনেক সময় বিরূপ প্রভাবও ফেলতে পারে। এ বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষাই দেখাতে পারে এর উত্তরণের পথ। মুদ্রণ ও প্রকাশনার জন্য এ দেশে দিনে দিনে আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি হবে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগ চালুর ফলে কর্মক্ষেত্রে আসবে প্রশিক্ষিত জনবল এবং পরিবর্তন হবে আমাদের প্রকাশনার এতদিনের দীন অবস্থার, বাড়বে প্রকাশনার সার্বিক মান। ফলে আধুনিক প্রযুক্তিবিশ্বে আগামীতে দেশ অর্জন করবে কর্মমুখী জ্ঞানচর্চার সুফল ও সমাজে বাড়বে গুণীর আগ্রহ, জ্ঞানের পরিধি।

লেখক : কবি, প্রকাশনা-বিশেষজ্ঞ

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!