ঢাকা: বাংলাদেশের কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কালেক্টরেট কর্মচারীদের চেয়ে দক্ষ এবং বেশি কাজ করে বলতে পারেন? আমি গর্ব করতে বলতে পারি দেশে এমন কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান নেই তারা কালেক্টরেট কর্মচারীর চেয়ে দক্ষ এবং বেশি কাজ করে থাকেন।
অথচ সব চেয়ে অবহেলিত কালেক্টরেট কর্মচারী। বেশ কিছু দপ্তরে উচ্চমান সহকারীর বেতন স্কেলে/গ্রেড-১৩ ও ১৪। কিন্তু কালেক্টরেট কর্মচারী যারা উচ্চমান সহকারী (বতর্মানে উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা) তারা ২০/২৫ বছর অফিস সহকারী পদে চাকুরী করে পদোন্নতি পেয়ে ১৫ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে থাকেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল। অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীরা যদি কালেক্টরেট কর্মচারীদের চেয়ে বেশি কাজ করতো তবে কথা ছিল না। ২৪ ঘন্টা কাজ করার পারিশ্রমিক হিসাবে কি প্রদান করা হচ্ছে? সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করতে না পাওয়া এমনকি ঈদের দিন দায়িত্ব পালন করা কর্মচারীরা শুধু দাস-দাসির মত কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে লাখ শহীদের রক্ত, মা বোনদের সম্ভ্রম হারিয়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি কিন্তু কোথায় স্বাধীনতা। কোথায় স্বাধীনতার চেতনা। প্রকৃত পক্ষে আমরা আজও স্বাধীনতা পাইনি। শোষণ ও নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি আমরা।
যাঁরা নীতি নির্ধারক তাদের কি নীতি আছে ? যদি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিবেক জ্ঞান থাকতো তবে কালেক্টরেট কর্মচারী অর্থাৎ অফিস সহকারীদের অধিনস্ত: থেকে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) পদে পদোন্নতি পেয়ে শুধু তারাই ১১/১২ গ্রেডে বেতন ভোগ করতো না সাথে সাথে কালেক্টরেট কর্মচারীদের সমন্বয় করে বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হতো। ধিক্কার জানাই ঐ সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যাঁরা বৈষম্য সৃষ্টি করছেন।
পূর্বে গর্ববোধ করতাম প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রধান প্রশাসনের কর্মকর্তা। এখন ধিক্কার জানাই ঐ সকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যাঁরা নিজ স্বার্থের বিনিময়ে বিশেষ বিশেষ দপ্তরের পদবি, বেতন গ্রেড উন্নতি করে থাকেন।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এ ধরণের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কালেক্টরেট কর্মচারীরা কখনই ক্ষমা করবেনা, করতে পারে না।
অনুরোধ করি স্বার্থের বেড়া জাল থেকে বেরিয়ে এসে কালেক্টরেট কর্মচারীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে বেতন গ্রেড উন্নতি করুন।
সোনালীনিউজ/আইএ
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।







































