• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটের এই রেকর্ডগুলো ভাঙার সাধ্য আছে কার


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৫, ২০২১, ০৫:৩৯ পিএম
ক্রিকেটের এই রেকর্ডগুলো ভাঙার সাধ্য আছে কার

ঢাকা: ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকেই এমন অসংখ্য রেকর্ড আছে যা কিনা ভাঙা হয়ে গেছে। তবে এখনো অনেক রেকর্ড অক্ষতই রয়ে গেছে। আদৌ কেউ ভাঙতে পারবে কি না। সেটি বলা যাচ্ছে না। আজ জানব এমন কিছু রেকর্ডের কথা হয়তো ক্রিকেট ইতিহাসে অক্ষতই রয়ে যাবে।
 
ব্র্যাডম্যানের রানের গড়
গড় ৯৯.৯৪- কেউ কখনও স্বপ্নেও ভাবে না ভাঙার কথা। গোড়ার দিকে আট, দশ, বিশটা টেস্ট খেলে হাতে গোনা দু একজনের থাকে বটে তবে বেলা গড়ালে ডনের এই এভারেস্টসম ব্যাটিং গড় অক্ষতই থেকে যায়।
 
মুরালিধরনের উইকেট
টেস্টে ৮০০টা, ওয়ানডেতে ৫৩৪টা উইকেট আছে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের। মোট ১৩৩৪টি উইকেট। ব্যস, সংখ্যাটাই যথেষ্ট। কতটা পথ পেরোলে মুরলির রেকর্ড ভাঙা যাবে সেটা মাপার যন্ত্রই এখনও বের হয়নি।

শচীন টেন্ডুলকরের ১০০ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি
শতরানের সেঞ্চুরি। ভাবা যায়, কেউ কেউ বলছেন, কোহলি বিরাট এই রেকর্ডটা ভেঙে দেবেন। দিল্লি এখন অনেক দূরে। শচীনের রেকর্ড অক্ষতই থাকবে এমন কথাই বলছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। 

উইলফ্রেড রোডসের টেস্ট খেলা
৫২ বছর বয়েসে উইলফ্রেড রোডসের টেস্ট খেলা- ক্রিকেট দিন দিন ফিটনেস ভিত্তিক খেলা। কোনো রকম ৩৫ পেরুলেই অবসরের কথা শোনা যায়। আর ইনি, উইলফ্রেড রোডস ৫২ বছর বয়সেও আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলেছেন। 

গ্রাহাম গুচের ৪৫৬ রান
একটা টেস্ট একজন ব্যাটসম্যান করলেন ৪৫৬ রান। হ্যাঁ, ভারতের বিরুদ্ধে লর্ডসে ১৯৯০ সালে গ্রাহাম এই রান করেন। গুচ প্রথম ইনিংসে করেন ৩৩৩ রান, দ্বিতীয়টাতে করেন ১২৩ রান। ইংল্যান্ড এই টেস্ট জিতে ২৪৭ রানে।

দ্রাবিড়ের ২১০ ক্যাচ
১৬৪টা টেস্টে দ্রাবিড় ধরেছেন ২১০টা ক্যাচ। টেস্টের নিরাপদতম হাতের গড় ০.৬৯৭। টেস্টে উইকেটকিপিং না করেও এই রেকর্ড সত্যিই অবিশ্বাস্য।

পন্টিংয়ের ১০৮
দেশের হয়ে ১০০টা টেস্ট খেলাই যখন যে কোনও ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হয়, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং অধিনায়ক হিসেবে ১০৮টা টেস্ট জয়ের স্বাদ নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মে খেলা পন্টিংয়ের এই রেকর্ড কেউ কোনও দিন ভাঙতে পারলে সেটাই হবে আশ্চর্যের।

গ্রেম স্মিথের ১০৯ টেস্টে নেতৃত্ব 
মাত্র ৮টা টেস্ট খেলার পর দেশের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাঁহাতি ওপেনার স্মিথ এরপর দেশকে টানা ১০৮টা টেস্টে নেতৃত্ব দেন। আর একটি টেস্ট আইসিসি একাদশের নেতৃত্ব দেন।  স্মিথ খেলেছেন ১১৭টা টেস্ট, নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০৯টাতে। এই বিরল রেকর্ড ভাঙা খুব কঠিন।

জিম লেকারের এক টেস্টে ১৯ উইকেট
১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে অজিদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের লেকার নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯টা, দ্বিতীয় ইনিংসে দশে দশ। দুটো মিলিয়ে ১৯। আজ পযর্ন্ত কেউ পারেননি, হয়তো কেউ পারবেনও না।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!