• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘সাক্ষী না দিলে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন আটকে দিন’


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৮, ২০১৯, ১১:০৭ পিএম
‘সাক্ষী না দিলে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন আটকে দিন’

ঢাকা: সমন জারির পরেও কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে উপস্থিত না হলে তাদের বেতন আটকে দেয়ার বা বেতন কেটে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০ বছর আগের একটি হত্যা মামলার আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘদিনেও ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের কাছে কৈফিয়ত চাওয়ার পর রেকর্ডপত্র নিয়ে বুধবার (৮ মে) নির্ধারিত দিনে ওই বিচারক আদালতে (হাইকোর্টে) উপস্থিত হন। বিচারকের উপস্থিতিতে হাইকোর্ট বলেছেন- পুলিশ, র‌্যাব ও ডাক্তারসহ কোনো সরকারি কর্তকর্তার সাক্ষ্য না দেয়ার কারণে যদি মামলা ডিলে হয় তাহলে বেতন কেটে নেয়ার বা বেতন আটকে দিন।

আদালত আরও বলেন, এছাড়াও এমন (কোনো মামলার সাক্ষী) কোনো সরকারি কর্মকর্ত যদি বিদেশে থাকেন সেক্ষেত্রে বা মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত র‌্যাব এবং পুলিশের কোনো কর্মকর্তা যদি মিশনে থাকেন তিনি যাতে আদালতের কাজে সহযোগিতা করতে পারেন তেমন কোনো ডিভাইস প্রস্তুত রাখা হয় তিনি যাতে যে কোনো দেশ থেকেই মামলায় সাক্ষ্য দিতে পারেন।

একই সঙ্গে মামলার আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আইনজীবী মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ১৯৯৮ সালে ডেমরা থানায় দায়ের হওয়া হযরত আলী হত্যা মামলা ২০ বছরেও নিষ্পত্তি না হওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল বিচারককে তলব করেছিলে হাইকোর্ট। বুধবার (৮ মে) নির্ধারিত দিনে ওই মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হাজির হয়ে হাইকোর্টকে জানান, ‘এক বছর ধরে মামলাটির দায়িত্বে তিনি। তবে, বারবার সমন জারি করার পরও সাক্ষী উপস্থিত হচ্ছিল না। এক্ষেত্রে বিচারকের কী করার আছে?’

এরপর হাইকোর্ট পুলিশ, র‌্যাবের যে কোনো কর্মকর্তা, ডাক্তারসহ যে সকল কোনো কর্মকর্তা সাক্ষীর সমন জারির পরেও সাক্ষী দিতে হাজির হবেন না, তাদের বেতন আটকে দেয়ার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ডেমরা থানায় দায়ের করা হযরত আলী হত্যা মামলার আসামি হেমায়েত ওরফে কাজল ওরফে কানন জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। জামিন শুনানিকালে বিগত ২১ বছরেও মামলার বিচারকাজ শেষ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে এ বিষয়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সংশ্লিষ্ট বিচারককে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। বুধবার (৮ মে) নির্ধারিত দিনে ওই রিচারককে মামলার যাবতীয় নথিসহ হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!