• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার সালমানকে নিয়ে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য!


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৩, ২০১৬, ০৫:০৭ এএম
এবার সালমানকে নিয়ে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

সোনালীনিউজ ডেস্ক
সালমান খান কি জেলে যাচ্ছেন?
মুম্বাই পুলিশ অন্তত তাই চাইছে৷
বেশ কিছুদিন আগেই মুম্বাই পুলিশ এবং সরকার জানিয়েছিল, সলমান খান মামলা নিয়ে তারা এবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে৷ এবার মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএমএম প্রসন্ন জানালেন, তাঁরা একটি চার্জশিট পেশ করেছেন এই মামলা নিয়ে৷ সেই চার্জশিটে ১৬টি চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে মুম্বাই পুলিশ৷ দাবি, এই ১৬টি তথ্য খুঁটিয়ে দেখলেই জানা যাবে, সালমান খান নির্দোষ নন!
কী কী তথ্য রয়েছে চার্জশিটে?
• চার্জশিটে স্পষ্টভাবে বলছে মুম্বাই পুলিশ, সালমান খান দুর্ঘটনার রাতে মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন৷ সান্তাক্রুজের রেন বার থেকে মদ্যপান করেছিলেন তিনি৷ সেই বিল জোগাড় করা হয়েছিল৷ কিন্তু, আদালতে আসেনি!
• জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলের রেন বার-এ যে সালমান ছিলেন, তার প্রমাণ হিসেবে হোটেলের বিল এবং পার্কিং লটের ট্যাগ জোগাড় করা হয়েছিল৷ কিন্তু, সেটাও আদালতে দেখানো হয়নি৷
• কম্পিউটারাইজড্ বিল ছাড়াও রেন বারের একটা হাতে লেখা বিলও ছিল৷ সেটাও আদালতকে পেশ করা হয়নি৷
• ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০২-এর সকাল থেকেই সালমান ছিলেন বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে৷ অথচ, বিকেল বেলায় জেজে হাসপাতালে তাঁকে রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ এতটা দেরিতে রক্তে মাদক রয়েছে কি না, তার সঠিক প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয় বলে পুলিশের দাবি৷
• নুর-উল্লাহ, পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির রক্ত সংগৃহীত হয়েছিল ভাবা হাসপাতালে৷ অথচ, সলমন খানকে কেন নিয়ে যাওয়া হল জেজে হাসপাতালে, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই!
• জেজে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে পরীক্ষার জন্য রক্ত এসে পৌঁছিয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর৷ অথচ, সেই রক্ত পরীক্ষার জন্য ল্যাবে যায় ৩০ সেপ্টেম্বর৷
• এই দু দিনে রক্ত সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি বলেই দাবি মুম্বাই পুলিশের৷ ফলে, পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যও সঠিক হতে পারে না৷
• যে কনস্টেবল হাসপাতাল থেকে রক্ত নিয়ে পুলিশ স্টেশনে এসেছিল, তার কোনও বয়ান নেওয়া হয়নি৷ হলেও, সেটা নথিভুক্ত নয়৷ ফলে, সেই প্রমাণ যথেষ্ট নয়৷
• সালমান খানের শরীর থেকে পরীক্ষার জন্য ৬ মিলিলিটার রক্ত নেওয়া হয়েছিল৷ অথচ, জমা পড়েছিল মাত্র ৪ মিলিলিটার৷
• যে ব্যক্তি ওই রক্ত সংগ্রহ করেছিলেন, তাঁরও বয়ান নেওয়া হয়নি৷
• তদন্তকারী অফিসাররা রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নেওয়ার সময় সেগুলো খুঁটিয়ে দেখেননি৷ অথচ, সেই রিপোর্টে নানা অসঙ্গতির কথা রয়েছে৷
• সংবিধানের ৬৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী বম্বে প্রহিবিশন অ্যাক্ট তৈরিই হয়নি এই মামলায়! হলে, ন্যায় বিচারের সম্ভাবনা থাকত!
• দু জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হয়৷ কেন, তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি!
• সংবিধানের ১৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়নি৷ এরকম কাউকে পাওয়াই যাচ্ছে না, যাঁরা বলেছেন সালমান গাড়ি চালাচ্ছিলেন না!
• ডিফেন্সের দাবি মাফিক গাড়ির চাকা ভাঙা ছিল৷ ধাক্কা খাওয়াতেই চাকা ভেঙে যায়৷ কিন্তু, ওই চাকা ঠিক কীভাবে ভাঙল, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি!
• কমল খান, যিনি ওই দিন সালমানের সঙ্গে ছিলেন, তাঁকে একবারের জন্যও আদালতে ডাকা হয়নি৷ অথচ, তাঁর ঠিকানা পাওয়া গিয়েছিল৷ কমল খানকে আদালতে নিয়ে আসা না হলে, তাঁর বয়ান না নিলে মামলা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, দাবি মুম্বই পুলিশের!
এই সব সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে এবার নতুন করে খুলতে চলেছে সালমান-মামলা! এর আগে সালমান খুব জোর দিয়ে বলেছিলেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টেও লড়াই চালাবেন! এবার, এই চার্জশিট নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি! সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Wordbridge School
Link copied!