ধলেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জেলা ঢাকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার পর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৫ মে) এই আদেশ দেন।
জানা গেছে, মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাই্টস ফর পিস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১ মার্চ হাইকোর্ট ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ দখলদারের তালিকা চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ মোতাবেক ঢাকার জেলা প্রশাসক ও বিআইডব্লিউটিএ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়। এতে অবৈধ স্থাপনা,মাটি ভরাট ও অবৈধ দখলদারদের নামের তালিকা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়,ধলেশ্বরী নদীর সীমানা চিহ্নিত ৬,৭,৮,৯ ও ১০ নং পিলারের স্থানে চারটি বালুর গদি ও ইটের গদি রয়েছে। এ ছাড়া ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে দ্বীন ফার্নিচার নামক একটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। এতে দখল করা জায়গার ১৩ হাজার বর্গফুট খাস খতিয়ানভুক্ত এবং নদীর তীরভূমির অংশে পড়েছে। হাইকোর্টে প্রতিবেদনে দাখিলের পরই আদালত শুনানি নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নির্দেশ দেন।
রিটকারী সংগঠনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :