• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে মুরগির খামার ব্যবসায় স্বাবলম্বি হতে চান


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৬, ২০১৬, ০৭:২৩ পিএম
সান্তাহারে মুরগির খামার ব্যবসায় স্বাবলম্বি হতে চান

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার নানা সমস্যার মোকাবেলা করে মুরগির খামার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প পুঁজি, মুরগির খামারের অধিক মূল্যেসহ বিভিন্ন সমস্যা কাঁধে নিয়ে তিনি এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সান্তাহার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌওতা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। সান্তাহার-বগুড়া মহাসড়কের পার্শ্বে আব্দুল জব্বারের তিনটি মুরগির খামার রয়েছে। আব্দূল জব্বার জানালেন, মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি পৌওতায় এ ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায় লাভবান হলে পরে তিনি এই স্থানে ব্যবসা স্থানান্তরিত করেন। তাঁর এ ব্যবসায় তাঁর তিন ছেলে তাঁকে সাহায্য করেন। বর্তমানে মুরগির খাবার, ঔষধের অধিক মূল্য, পুঁজির সমস্যা, বিদ্যুতের অধিক মূল্যে, ইত্যাদি সমস্যায় তার ব্যবসার সমস্যা।

জয়পুরহাট, বগুড়া শহর থেকে ছোট মুরগির বাচ্চা কিনে খামারে নিয়ে এসে লালন পালন করেন তিনি। তারপর সেই মুরগির বাচ্চাগুলোকে ৭০ দিন ধরে লালন পালন করে বড় করে তোলেন। এই সময় পর্যাপ্ত খাবার ও ঔষধ দিতে হয় মুরগির বাচ্চাদের। মুরগির খাবার ও ঔষধ বাবদ প্রতিদিন তাদের গড়ে ৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে। এছাড়া রয়েছে খামার ভাড়া ও বিদ্যুতের খরচ। মুরগি বড় হলে বা বিক্রি যোগ্য হলে পাইকাররা এসে মুরগি নিয়ে যায়। ঢাকা, রাজশাহী,বগুড়া শহড় থেকে পাইকার এসে মুরগি নিয়ে যায়। আব্দুল জব্বারের বয়স হয়েছে। তবুও কাক ডাকা ভোরই তিনি মুরগির খামারে আসেন। একটানা কাজ করেন খামারে।

তিনি আরো জানালেন, কাজকে তিনি ভালবাসেন আর ভালবাসেন তার খামারকে। শীত মৌসুমে খামারে অধিক যত্ন নিতে হয়। এই খামারকে আরো সমৃদ্ধি করার স্বপ্ন তাঁর। সরকারী সহানাভূতি পেলে তার সে স্বপ্ন পূরন হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!