• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘অন্যদেরও যেন আমার মতো বিয়ে হয়’


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০১৭, ০৮:৩২ এএম
‘অন্যদেরও যেন আমার মতো বিয়ে হয়’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আমার মতো আরো যারা সরকারি শিশু পরিবারে আছে তাদেরও যেন আমার মতো বিয়ে হয়। আমি সকলের দোয়া কামনা করি। যেন বিবাহিত জীবনে স্বামী-সংসার নিয়ে সুখে থাকতে পারি। আমার আপন কেউ নেই, তাই নতুন ঠিকানায় যেন ভালো থাকতে পারি, সেই চেষ্টাই করবো। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত বিয়ের কনে হাবিবা সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

৬ বছর বয়সের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু পরিবারে এক দশক ধরে থাকেন বাবা-মা হারা হাবিবা। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে হাবিবার ‘অভিভাবক’ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের বাসভবন ‘স্বপ্নবিলাসে’ বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাকারিয়া-হাবিবার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

এসময় হাবিবার বর জাকারিয়া বলেন, আমি আমার এসপি স্যারসহ (মিজানুর রহমান) সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমরা যেন সাংসারিক জীবনে সুখি হতে পারি। আমাদের সহযোগিতা করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

জাকারিয়া বলেন, আমি মনে করি, হাবিবা আমার পরিবারে গেলে সুখে থাকবে। আমি তাকে খারাপ রাখব না।

এর আগে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে হাবিবার বাবার ভূমিকায় থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের উপস্থিতে কাজী আবু জামাল হাবিবা-জাকারিয়ার বিয়ে পড়ান।

বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের বাসভবন ‘স্বপ্নবিলাস’ থেকে রাত ১০টায় হাবিবাকে বিদায় জানানো হয়।

হাবিবা-জাকারিয়ার আলোচিত এ বিয়েতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, ফজিলাতুননেসা বাপ্পী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ও শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা বেগমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাত ৮টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বৃষ্টিপাত শেষ হলে শুরু হয় বিয়ের বিদায় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। বৃষ্টি হলেও সকলের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!