• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

অভিষেকেই বাজিমাৎ, এরপর...


বিনোদন প্রতিবেদক    অক্টোবর ২১, ২০১৭, ০৩:৩৮ পিএম
অভিষেকেই বাজিমাৎ, এরপর...

ঢাকা: ‘ যারা নাটক নির্মাণ করেন তারা সিনেমা বানাতে পারে না, তারা বানায় বড় নাটক/টেলিছবি’ এমন মন্তব্য-তীর ছোঁড়ার দিন বুঝি শেষ হয়ে এলো। বাণিজ্যিক ধারার সফল চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তৈরি করে অভিষেকেই বাজিমাত করেছেন নাটকের দুই নির্মাতা অমিতাভ রেজা ও দীপংকর দীপন। ছবি দুটি দেখে ‘বেফাঁস মন্তব্যকারী’দের নিশ্চয়ই ধারনা পাল্টেছে! জন্মেছে আস্থা।

অভিষেকেই ব্যবসাসফল বিনোদনমূলক চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন এমন নাট্যনির্মাতা রয়েছেন আরও কয়েকজন। কিন্তু মুশকিল হলো, তারা একটি বা দুটি ছবি তৈরি করে ক্ষান্ত দিয়েছেন। অথচ হিটমেকার এ নির্মাতারা নিয়মিত বড়পর্দায় কাজ করলে সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে পারতো দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্প, পাল্টে যেতে পারতো এফডিসির চেহারা। কিন্তু তেমনটি ঘটছে না কেন?

সালাউদ্দিন লাভলু (মোল্লাবাড়ির বউ), গিয়াসউদ্দিন সেলিম (মনপুরা), শিহাব শাহীন (ছুঁয়ে দিলে মন)— টেলিভিশন নাটকে সফল এই তিন নির্মাতা অভিষেক ছবিতেই বাজিমাত করেছেন। তাদের অবস্থা এলেন, দেখলেন, জয় করলেন এবং চলে গেলেন যেন! কারণ সফলতার পরও চলচ্চিত্রে বাড়েনি তাদের ব্যস্ততা।

চাহিদা থাকার পরও দ্বিতীয় ছবি হাতে নেওয়ার বেলায় দীর্ঘসূত্রিতায় পড়েছেন। কেন এমনটি ঘটছে, সেটি এক রহস্য বটে। শুধু যে লগ্নিকারীর সংকটে এমনটি হচ্ছে, তা-ও নয় নিশ্চয়ই?

সালাউদ্দিন লাভলুর বানানো ‘মোল্লবাড়ীর বউ’ (রিয়াজ, মৌসুমী ও শাবনূর) ২০০৫ সালের ব্যবসাসফল ছবি। বিপুল জনপ্রিয়তার পর ‘ওয়ারিশ’ নামে ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই পর্যন্তই, আলোর মুখ দেখেনি সেটি। নাটকেই দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন এই নির্মাতা। অথচ তার কাছে গ্রামীণ পটভূমির দারুণ গল্পের আরও কিছু ছবি পেতে পারতেন দর্শক। এক যুগেও দ্বিতীয় ছবি উপহার দিতে পারেননি লাভলু। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে!

‘মনপুরা’র ইতিহাস সবার জানা। নাটকের সফল কারিগর গিয়াসউদ্দিন সেলিম সব শ্রেণির দর্শককে হলে নিয়ে গিয়েছিলেন। দারুণ ব্যবসাসফল ছবি নির্মাণের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেননি তিনিও। এরপর ‘কাজল রেখা’ নামে ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন, এগোয়নি। এ অবস্থায় চিত্রনায়িকা পরী মনিকে নিয়ে দৃশ্যত দ্বিতীয় ছবি ‘স্বপ্নজাল’-এর কাজ।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!