ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ‘আলগা নোঙর’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চার চরিত্রের একটিতে অভিনয় করেছেন ইলোরা গহর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’। এতে মাইমুনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম আমি।
ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছিলাম। ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ নির্মাণ করেছিলেন মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী। এরপর বাংলাদেশে এই মানের চলচ্চিত্র খুব কম হয়েছে। অনেকদিন পর ‘আলগা নোঙর’কে আমার সেই মানের চলচ্চিত্র মনে হয়েছে। পরিচালক ওয়াহিদ তারেকের মাঝে আমি শাকের ভাই, নিয়ামত ভাইয়ের ছায়া খুঁজে পেয়েছি। তাই ছবিটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। হতে পারে এই ছবি আমাকে ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’র পর বহুকাল দর্শকের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে। এদিকে ইলোরা গহর এরইমধ্যে শেষ করেছেন সৈকত নাসিরের নির্দেশনায় ‘পাষাণ’ ও সোহেল আরমানের নির্দেশনায় ‘ভ্রমর’ ছবির কাজ। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি শুরু করতে যাচ্ছেন জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘ভালো থেকো’ ছবির শুটিং। ইলোরা গহর জানান ‘পাষাণ’ ছবিতে তিনি আইটেম কন্যার আদলে তৈরি একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
উল্লেখ্য, ইলোরা গহর প্রথম নাটকে অভিনয় করেন আব্দুল্লাহ আল মামুনের রচনা ও আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় ‘তুমি সেই প্রজাপতি’তে। ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে সর্বশেষ এ দুজনের রচনা ও প্রযোজনায় অভিনয় করেন ‘অসময়ের অতিথি’ নাটকে। এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ ও ‘চড়ুইভাতি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ইলোরা গহর শঙ্খদাশ গুপ্তর ‘হ্যালো অমিত’ ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘মধুমতি’ ছবিতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি দীপ্ত টিভির ‘অপরাজিতা’ এবং এসএটিভির ‘শুধু তোমাকে চাই’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন তিনি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :