• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ চ্যানেলে ৮০ বেলুনের বিশ্বরেকর্ড!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ৮, ২০১৭, ০৫:১৫ পিএম
ইংলিশ চ্যানেলে ৮০ বেলুনের বিশ্বরেকর্ড!

ঢাকা: এক সঙ্গে ৮০টিরও বেশি হট এয়ার বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন একদল অভিযাত্রী। বেসরকারিভাবে এটা নতুন বিশ্বরেকর্ড। এর আগে মানুষ বহনকারী এতগুলো বেলুন এক সঙ্গে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে পারেনি।

এর আগে ২০১১ সালে ৪৯টি হট এয়ার বেলুনে চড়ে ছাব্বিশ মাইল (৪২ কি.মি.) প্রশস্ত ব্যস্ততম নৌপথ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। খবর বিবিসির।

বেলফাস্ট টেলিগ্রাফ সংবাদপত্র বলছে, এই সাফল্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ হিসেবে গিনেস কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রা শুরু করার আগে অভিযাত্রীরা আনুষ্ঠানিকভাবে গিনেসকে এই অভিযান সম্পর্কে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে গিনেস বলছে, তাদের কর্মকর্তারা সর্বশেষ এই অভিযানটি সম্পর্কে তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন। যদি প্রমাণিত হয় যে সত্যিই তারা বিশ্ব রেকর্ড করেছেন, তাহলে এই সাফল্যের স্বীকৃতি দেয়া হবে।

ইংলিশ চ্যানেল বিশ্বের ব্যস্ত নৌপথগুলোর একটি। ইংরেজি ভাষায় (English Channel) ইংগ্লিশ্‌ চ্যান্‌ল্‌, ফরাসি ভাষায় যা (La Manche) লা মঁশ্‌। পশ্চিম ইউরোপের একটি সংকীর্ণ সাগর যা ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে পৃথক করেছে এবং উত্তর সাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। 

ইংলিশ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ অবস্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার ( ডোভারের প্রণালীতে) হতে পারে। পূর্বদিকে এর বিস্তার কমে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার হয়ে যায় এবং সেখানে এটি ডোভার প্রণালীর মাধ্যমে উত্তর সাগরের সাথে সংযুক্ত। ইংলিশ চ্যানেলের প্রধান বন্দরগুলির মধ্যে আছে ফ্রান্সের শেরবুর্গ ও ল্য আভ্র্‌, এবং গ্রেট ব্রিটেনের সাদাম্পটন। ছোট বন্দরগুলির মধ্যে আছে গ্রেট ব্রিটেনের ডোভার, প্লিমাথ ও পোর্ট্‌স্‌মাথ এবং ফ্রান্সের কালে, দাঁকের্ক, বুলোঞ-সুর-মের ও দিয়েপ। এই সব বন্দরগুলির মধ্যেই নিয়মিত ফেরি সংযোগ আছে। রেল ফেরিগুলি কোন বিরতি ছাড়াই লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে যাত্রী পরিবহন করে। ডোভার ও কালে শহরের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলের উপর দিয়ে আধা ঘণ্টার হোভারক্রাফট পরিবহনের ব্যবস্থা আছে। 

১৮০২ সালে ইংলিশ চ্যানেলের তল দিয়ে সুরঙ্গ খুঁড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কথা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে এসে এটির খননকাজ শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে কাজটি সমাপ্ত হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে যাত্রী, গাড়ি ও ট্রাক পরিবহন সম্ভব।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!