• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ ঘিরে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৬, ২০১৭, ১০:১২ পিএম
ঈদ ঘিরে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি

ঢাকা: আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক থামানো যাবে না। ঈদ উপলক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপাত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন তিনি। বুধবার(১৬ আগস্ট) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার বিষয়ে এক বিবৃতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, ঈদুল আজহা উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে কোন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

নির্ধারিত ঘাট ব্যতীত কোরবানীর পশু উঠানামা রোধ, পশুরহাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, পশুর হাট ইজারাদার কর্তৃক হাসিল হার প্রদর্শন, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সভায়। কোরবানীর পশু পরিবহণে ব্যবহৃত নৌকা ও ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোরবানীর পশুর কৃত্রিম সংকটকারী, অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারীসহ কোরবানীর পশুর হাটের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকার চামড়া যাতে বাইরে না যায় এবং ঢাকার বাইরের চামড়া যাতে সীমান্তমুখী না হয় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন্যা দুর্গত এলাকায় কোরবানীর/গৃহপালিত পশুর নিরাপত্তার জন্য কমিউনিটি পুলিশকে কাজে লাগাতে হবে।

ঈদে নৌ পথে ঘরমুখে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের লক্ষ্যে রাজধানীর সদরঘাট এবং বরিশালে কমিউনিটি নৌ পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য নৌ পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। নৌ পথে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং চাঁদাবাজি রোধে নৌ পুলিশ ইউনিট অন্যান্য পুলিশ ইউনিটের সহায়তায় চেকপোস্ট স্থাপনসহ টহলের ব্যবস্থা করবে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হবে। এছাড়া, জেলা এবং থানা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঈদ জামাতস্থল, লঞ্চ, ট্রেন, বাস এবং মসজিদে জঙ্গি গোষ্ঠীর নাশকতা রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

ঈদের সময়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. মনিরুজ্জামান। সভায় এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো. মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, নৌ, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ অন্যান্য ইউনিটের ডিআইজি, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!