• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক নারীর জামিন, দু’জনের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ২, ২০১৭, ০৫:৫৯ পিএম
এক নারীর জামিন, দু’জনের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

ঢাকা: বিচার শেষ না হওয়া পৃথক চার মামলায় ৬ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা চার নারীর মধ্যে একজন জামিন পেয়েছেন। বাকি দু’জনের মামলার বিচার তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আরেকজনের জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জামিন পেয়েছেন সুমী আক্তার। বাকি দু’জন শাহনাজ বেগম ও রাজিয়া সুলতানার মামলার বিচার তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে তাঁরা জামিন আবেদন করলে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বাকি একজন রানী ওরফে নূপুরের জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

অর্ধযুগের বেশি সময় চার নারীর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকার তথ্য আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য ও আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। শুনানি নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর হাইকোর্ট কেন তাঁদের জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেন। পাশাপাশি ১৬ জানুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। মামলার নথিও তলব করা হয়। ধার্য তারিখে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশের জন্য রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আদেশ হয়।

আইনুন্নাহার সিদ্দিকা বলেন, রানী ওরফে নূপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে আদালত তাঁর জামিন প্রশ্নের রুল খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর মামলায় বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

মামলার নথিপত্র অনুসারে, ২০০৮ সালে রাজধানীর শ্যামপুর থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি সুমী আক্তার। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার ধর্মগঞ্জে। তিনি ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। ঢাকার মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন এই মামলায় তাঁকে ৫০ বার হাজির করা হয়। সর্বশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদি গ্রামের শাহনাজ বেগম দোহার থানায় ২০০৮ সালে করা একটি হত্যা মামলায় একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অষ্টম আদালতে বিচারাধীন। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৬ বার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০০৯ সালে তুরাগ থানায় করা এক হত্যা মামলায় গাজীপুরের টঙ্গী থানার বেদেবহর এলাকার রাজিয়া সুলতানা ওই বছরের ২১ মে থেকে কারাগারে আছেন। ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন ওই মামলায় ৬০ বার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে চলতি বছরের ৯ আগস্ট আদালতে হাজির করা হয়।

ময়মনসিংহের রানী ওরফে নূপুর ২০০৯ সালে রমনা থানায় করা এক হত্যা মামলায় ওই বছরের ২১ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এ থাকা এই মামলায় তাঁকে ৬৫ বার আদালতে হাজির করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ আগস্ট নূপুরকে আদালতে হাজির করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!