• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাজীরহাট ফেরিঘাট ১০ বছর ধরে বন্ধ


পাবনা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭, ০৬:২৬ পিএম
কাজীরহাট ফেরিঘাট ১০ বছর ধরে বন্ধ

পাবনা: রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত পাবনার বেড়া উপজেলার কাজীরহাট ফেরিঘাট প্রায় ১০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র নগরবাড়ী ঘাট স্থবির হয়ে পড়েছে। পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে। এছাড়া পাবনা, নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে পণ্য পরিবহনে বেশি ব্যয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ফেরিঘাটটি চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। ঘাটটি চালু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ঘাটটি স্থায়ীভাবে চালু করা যায়নি।

ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর পশ্চিম পারে বেড়া উপজেলার কাজীরহাট ও পূর্ব পারে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া। বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলেও ১৫০ কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে ওই ফেরি চলাচল অব্যাহত ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের ৩০ জুলাই বন্যার কারণে কাজীরহাট ও পাটুরিয়ার মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ফেরিঘাটটি মাঝে দুই-এক দিনের জন্য চালু হলেও আবার তা বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় পণ্য পরিবহনে খরচ বেশ বেড়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন উভয় পারের পণ্যবাহী শত শত ট্রাকচালক ও কাজীরহাট ফেরিঘাটের কয়েকশ’ শ্রমিক।

পরিবহন নেতারা বলেন, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ও ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান পাবনায় এসে ফেরিঘাটটি চালুর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি ছাড়াও বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদের পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব কাজীরহাটে এসে ফেরি চালুর তারিখ পর্যন্ত ঘোষণা করেছিলেন।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রইস উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প হিসেবে ও সেতুর ওপর চাপ কমাতে ফেরিঘাটটি শিগগিরই চালু হওয়া প্রয়োজন। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। ফেরিঘাটটি চালু হলে এর উপকার শ্রমিক-ব্যবসায়ীর পাশাপাশি সাধারণ লোকজনও পাবেন।’

নগরবাড়ী শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ফেরি চালু হলে নগরবাড়ী ও কাজীরহাটের ব্যবসায়িক স্থবিরতা কেটে যাবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের বলেন, কাজীরহাট-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল সচল করার ব্যাপারে মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কথা ছিল, খনন করে ফেরি চালু করা হবে। কিন্তু এখনো তা না হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই নৌরুটে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগে। কিন্তু আমাদের ফেরির সংকট রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!