• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যার অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জুলাই ২১, ২০১৬, ০৯:২৬ পিএম
কুড়িগ্রামে বন্যার অবনতি,  লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এদিকে নদ-নদীর এই অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার দেড় শতাধিক চর ও দ্বীপচরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রী না পৌঁছায় খাদ্য সংকটসহ দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসীরা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর পারবতীপুরের আহেলা বেগম জানান, তার স্বামী দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালায়। বন্যা আসায় হাতে কোনো কাজ নেই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খাবার সংকটে পড়েছেন বলে জানান তিনি। একই চরের বাসিন্দা আবদার জানান, ঘরে খাবার নাই, কাজেও যেতে পারছি না। কেউ এখন পর্যন্ত খোঁজখবর নেয়নি। খুব কষ্টে আছি। 

নদ-নদীতীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের মানুষজন এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২য় দফা বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের। 
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১শ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পেলেও তা এখনো বিতরণ করা হয়নি। মজুদকৃত ত্রাণ বিতরণ না হলেও নতুন করে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, আমাদের কাছে ১শ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরো ৫শ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ১০ লাখ টাকা চেয়েছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন বরাদ্দ পাব। বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!